আগামী সপ্তাহে নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকার সফরের আগেই ভারতের কাছে বড় অংকের অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি চুড়ান্ত করতে নতুন দিল্লী এসেছিলেন আমেরিকান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। সেই সফরের স্বার্থে বৈঠক করেছেন ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দোভালের সংগেও।
বৈঠকে ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দোভাল তার আমেরিকান কাউন্টারপার্টকে অনুরোধ করে বলেছেন, মালদ্বীভস এবং বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে আমেরিকা যদি নিরপেক্ষতার চাপ দেয় তাহলে ভারতের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। অর্থাৎ এখন দেশদুটো যেভাবে চলছে ওভাবেই যেন চলতে থাকতে পারে। এতে কোন মন্তব্যই করেননি জ্যাক সুলিভান।
পরের খবর হচ্ছে, ভারত আমেরিকার কাছ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার মুল্যের ৩১টি এমকিউ-৯বি সশস্ত্র ড্রোন কেনার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করেছে। মোদী ওয়াশিংটন ডিসিতে গেলেই চুক্তিটি চুড়ান্তভাবে স্বাক্ষরিত হবে।
একটু আগেই বলেছি দেভাল তার প্রতিপক্ষ সুলিভানকে অনুরোধ জানিয়ে বলেছিলো মালদ্বীভস ও বাংলাদেশে বিষয়ে যেন ভারতের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। যেভাবে চলছে ওভাবেই যেন চলতে থাকে। অর্থাৎ দেশদুটোকে যেন আমেরিকা সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য কোন চাপ না দেয়।
সেই অনুরোধ পাবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমেরিকার ফরেন সেক্রেটারী মালদ্বীভস এর পরাস্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহীদকে হোয়াইট হাউজে ডেকে নিয়ে বলে দিয়েছেন, আগামী ৯-ই সেপ্টেম্বর মালদ্বীভস এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেন তার দেশের জনগন বাঁধাহীনভাবে ভোট দিতে পারে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন যেন নিশ্চিত করা হয়। নাহলে সমস্যা হবে! উল্লেখ্য, মালদ্বীভস-এ ও ভারতের আজ্ঞাবহ একটি সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে।
কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের পররাস্ট্রমন্ত্রীকেও হোয়াইট হাউজে ডেকে নিয়ে একইভাবে বলে দিয়েছিলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে; গণতন্ত্রকে সমুন্নত করতে হবে; জনগন যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এতে স্পষ্ট মালদ্বীভসের বিষয়ে ভারতের অনুরোধ আমলে নিয়েনি যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের বিষয়টিও শিগরই পরিষ্কার হবে। তবে আমার ব্যক্তিগত মত দেখতে থাকুন, আমেরিকা যেটা একবার সিদ্ধান্ত নেয় – সেটা বাস্তবায়নের জন্য সবকিছু করে।