সাইফুর নৌশাদ,চট্টগ্রাম আদালত প্রতিবেদক : গ্রামে পিতার দায়ের করা মামলায় পুত্রের দশ বছর কারাদন্ড দিয়েছেন একটি আদালত। গতকাল সোমবার চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এ রায় দেন।
পেশায় ডাক্তার পিতা মুকুল শীল ফার্মেসিতে অবস্থানকালে তাকে গালিগালাজ করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ছেলে। বাধা দেওয়ায় বাবাকে এলোপাথাড়ি পেটাতে থাকে। এ ঘটনায় ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন বাবা। ওই মামলায় ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ছেলেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত ছেলের নাম জিকু চৌধুরী (৩৫)। তিনি চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীর দক্ষিণ কাট্টলীর ডা. মুকুল শীলের ছেলে। জিকু চৌধুরী পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ছদু চৌধুরী রোড উপশম ফার্মেসিতে বাবাকে গালিগালাজ করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ছেলে জিকু চৌধুরী। নিষেধ করার পর কাঠ দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে বাবাকে বাম হাতে গুরুতর জখম করে ছেলে। আহত বাবা চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ফার্মেসির তালা ভেঙে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায় ছেলে। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাবার কাছ থেকে আরও ২০ লাখ টাকার চেক নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেয়।
এসব ঘটনার পর বাধ্য হয়ে বাবা মুকুল শীল বাদি হয়ে নগরের পাহাড়তলী থানায় মামলা করেন। পরে তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০২৩ সালের ২৩ মে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ওমর ফুয়াদ বলেন, মামলায় ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ছেলে জিকু চৌধুরীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। তাকে ৩৮৬ ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাস এবং ৩২৫ ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাস কারাদণ্ড দেন আদালত। উভয় কারাদণ্ড একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে পিতার মামলায় পুত্রের ১০ বছরের কারাদন্ড
