আজ পয়লা অগ্রহায়ণ। এ অগ্রহায়ণ ঘিরে নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙ্গিনা। রংপুর অঞ্চলে কৃষকের ঘরে ঘরে আমন ধানকাটা মাড়াই চলছে পুরোদমে। গ্রামীণ জীবনে নবান্ন উৎসব একটি ঐতিহ্য। বাজারে ধানের দাম ভালো এবং বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই ভালোভাবে ফসল ঘরে তুলতে পারায় কৃষকরা বেজায় খুশি। বাংলার কৃষিজীবী সমাজে শস্য উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ের যেসব আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব পালিত হয় নবান্ন তার মধ্যে অন্যতম।
‘নবান্ন’ মানে ‘নতুন ভাত’ বা ‘নতুন খাবার’। নতুন ধান কাটার পর সেই ধানের চাল দিয়ে প্রথম রান্না উপলক্ষে নবান্ন উৎসব হয়। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসে যখন আমন ধান পাকে, তখনই এ উৎসব পালিত হয়।
কার্তিক আর অগ্রহায়ণ মাস মিলে হেমন্ত ঋতু। হেমন্তের প্রথম মাস পার হওয়ার পর ধান কাটার সময় কৃষকের ঘরে আনন্দের ঢল নামে। ধান ঘরে তোলা, পিঠা-পায়েস খাওয়া, আর উৎসবের ধুম লেগে যায়। গ্রাম ভরে ওঠে নতুন আনন্দে।
আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় বাঁশি বাজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা, চলবে রাত পর্যন্ত। পিঠাপুলি, বাহারি পোশাক, রঙিন সজ্জায় বাঁশির মায়াবী ধ্বনি, নাচ, গান আর আবৃত্তিতে অগ্রহায়ণের প্রথম সকালে চারুকলার বকুলতলা মুখর হয়ে উঠেছে।
‘এসো মিলি সবে নবান্নের উৎসবে’ এ প্রতিপাদ্যে এ বছরও চারুকলায় নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ‘পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে আয়রে ছুটে আয়…’ অগ্রহায়ণ আসলেই এমন আহ্বানে যেন পুরো গ্রাম মেতে ওঠে। কৃষকের মুখে হাসি ফোটে, জীবনে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়।অগ্রহায়ণের অনুষ্ঠানকে দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলবে প্রথম ভাগের আনুষ্ঠানিকতা। দুপুর ২টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় ভাগের পরিবেশনা। বিভিন্ন সংগঠন তাদের পরিবেশনা উপস্থাপন করছে।