spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

বন্দর বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া রুখে দেয়া হবে : শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_img

চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা দেশি-বিদেশি মাফিয়াদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন নামের একটি সংগঠন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা।

- Advertisement -

এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার ভার বিদেশিদের হাতে দিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা। একই সঙ্গে বন্দরকে বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসার আহ্বান জানান সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে চট্টগ্রাম বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে নানা কলাকৌশলে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষায় আগামী ২২ ডিসেম্বর আমরা বন্দর চেয়ারম্যানকে একটা স্মারকলিপি দিবো। এরমধ্যে যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি দিবো আমরা।

তারা বলেন, বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি স্থাপনা তৈরি করে মুনাফা অর্জন করতে পারছে তাহলে বন্দরের সক্ষমতা থাকার পরেও কেন বন্দর নিজস্ব জনবল ব্যবহার করে রাজস্ব আদায় করে গতিশীল করতে অনীহা। যা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। ইতিমধ্যে যেসকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি শেষ হতে চলেছে তাদের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি না করার অনুরোধ করছি। তারা আরও বলেন, জাতীয় অর্থনীতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। ভূ-রাজনীতি বিবেচনায় চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানির ৯২ শতাংশ খোলা পণ্য আর ৯৮ শতাংশ কন্টেনার পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে।

‘শ্রমিক কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে চট্টগ্রাম বন্দর আজ সুখ্যাতি লাভ করেছে। প্রতিবছর চট্টগ্রাম বন্দরের মুনাফা বেড়ে চলেছে। চট্টগ্রাম বন্দর লাভজনক প্রতিষ্ঠান তাই দেশি বিদেশি মাফিয়ারা ধুকে ধুকে খাওয়ার জন্য ষড়যন্ত্র করে চলেছে। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব ও বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। বন্দরকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষার জন্য আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে অনুরোধ করছি।’

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ