বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
spot_img

ই-পাসপোর্ট পুরোপুরি চালু করা হবে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট পুরোপুরি চালুর পরিকল্পনা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই কাজ চলছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ই-পাসপোর্ট পুরোপুরি চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। এ উদ্যোগের মাধ্যমে পাসপোর্ট ব্যবস্থা আরও আধুনিক, নিরাপদ এবং সহজতর করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

- Advertisement -

ই-পাসপোর্টের পটভূমি ও গুরুত্ব:
ই-পাসপোর্ট হলো একটি ডিজিটাল পাসপোর্ট যা নিরাপদ চিপ প্রযুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করে। এটি ভুয়া পাসপোর্ট তৈরির ঝুঁকি কমায় এবং পাসপোর্ট চেকিং ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে সহায়তা করে। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তবে এর পূর্ণ বাস্তবায়ন ধাপে ধাপে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা ছিল।

পুরোপুরি ই-পাসপোর্টে রূপান্তরের কারণ:
১. নিরাপত্তা বৃদ্ধি: সাধারণ মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (MRP) তুলনায় ই-পাসপোর্ট অনেক বেশি নিরাপদ। এতে বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন আঙুলের ছাপ ও ডিজিটাল ফটো সংরক্ষণ করা হয়। ২. আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা: ই-পাসপোর্ট ব্যবহারের ফলে বিদেশে ভ্রমণকারী নাগরিকরা দ্রুত ইমিগ্রেশন সুবিধা পাবেন এবং আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকবে। ৩. সার্ভিস উন্নয়ন: ই-পাসপোর্ট প্রবর্তনের ফলে আবেদন থেকে বিতরণ পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া ডিজিটাল হওয়ার মাধ্যমে দুর্নীতি ও জটিলতা হ্রাস পাবে।

ই-পাসপোর্ট চালুর চ্যালেঞ্জ:
১. প্রযুক্তিগত বাধা: দেশের সব নাগরিকের তথ্য ডিজিটাল আকারে সংরক্ষণ করা এবং তা সঠিকভাবে চিপে অন্তর্ভুক্ত করা। ২. অবকাঠামো উন্নয়ন: ই-পাসপোর্ট বিতরণের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও প্রশিক্ষিত জনবল প্রস্তুত করা। ৩. সার্বজনীন অ্যাক্সেস: দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর মানুষের জন্য এই সুবিধা পৌঁছে দেওয়া।

বাস্তবায়নের অগ্রগতি:
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মতে, ই-পাসপোর্ট চালুর জন্য ইতোমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্প সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য সরকারি দপ্তরগুলোতে বিশেষ তৎপরতা চলছে। পাসপোর্ট আবেদনকারীদের ই-পাসপোর্টে রূপান্তর করার প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে অনলাইন আবেদন, নতুন সেবা কেন্দ্র স্থাপন এবং প্রয়োজনীয় টেকনিক্যাল সহায়তা বাড়ানো হয়েছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রযুক্তিগতভাবে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। এ উদ্যোগের ফলে আন্তর্জাতিক ভ্রমণে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে এবং নাগরিক সেবার মান উন্নত হবে।

সুতরাং, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ঘোষণার মধ্য দিয়ে ই-পাসপোর্টের পূর্ণ বাস্তবায়ন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এটি দেশের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির একটি মাইলফলক হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সর্বশেষ