কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার দল লিবারেল পার্টির কিছু সদস্যের চাপের মুখে রয়েছেন, যারা তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। তবে, তিনি এখন পর্যন্ত পদত্যাগের কোনো ঘোষণা দেননি।
গত ২৪ অক্টোবর ২০২৪-এ, লিবারেল পার্টির ২৪ জন আইনপ্রণেতা ট্রুডোকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি দেন, যেখানে তাকে ২৮ অক্টোবরের মধ্যে পদত্যাগ করতে বলা হয়। তারা সতর্ক করেন যে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তিনি পদত্যাগ না করলে, দলীয়ভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
এই আহ্বানের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে ট্রুডোর জনপ্রিয়তার হ্রাস এবং বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির জনপ্রিয়তার বৃদ্ধি উল্লেখ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, কনজারভেটিভ পার্টি লিবারেল পার্টির থেকে ২০ পয়েন্ট এগিয়ে রয়েছে। এমপিরা আশঙ্কা করছেন যে, ট্রুডোর নেতৃত্বে আগামী ২০২৫ সালের পার্লামেন্ট নির্বাচনে লিবারেল পার্টির পরাজয় হতে পারে।
তবে, দলের ভেতরে ট্রুডোর বিকল্প নেতা হিসেবে কেউ এখনো এগিয়ে আসেননি। এমপিদের মধ্যে মতবিরোধও রয়েছে; কিছু সদস্য ট্রুডোর পদত্যাগের পক্ষে, আবার কিছু সদস্য তার নেতৃত্বের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। কানাডার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মার্ক মিলার বলেছেন, “যেসব এমপি প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বক্তব্য ও চিঠি দিয়েছেন, তারা সাহসী এবং নিজেদের সাহসিকতার জন্য প্রশংসার দাবিদার। তবে আমি বলতে চাই, দল যতটা খারাপ অবস্থায় আছে বলে তারা আশঙ্কা করছেন, বাস্তব পরিস্থিতি তেমন নয়।”
এদিকে, ট্রুডো এখনো এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তিনি তার নেতৃত্ব অব্যাহত রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং আগামী নির্বাচনে লিবারেল পার্টিকে নেতৃত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগের কোনো ঘোষণা দেননি এবং তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।