আবারো রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে। ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন।ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক। এরপর ২২ আগস্ট গ্রেপ্তার হন রাশেদ খান মেনন আর ২৬ আগস্ট গ্রেপ্তার হন ইনু। আর ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
এখন পর্যন্ত সালমান এফ রহমানের ৯ মামলায় ৫৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্যদিকে বিভিন্ন মামলায় তার ৪৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এখন পর্যন্ত রাশেদ খান মেননের ৩১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর বাইরে ইনুর ৩৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, যাত্রাবাড়ী থানায় করা জিসান হত্যা মামলায় আনিসুল, সালমান, মেনন, ইনু ও মামুনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে সাংবাদিক মেহেদী হাসান হত্যা মামলায় আনিসুল, মেনন ও ইনুর ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে পুলিশ।
অপরদিকে আনিসুলসহ অন্যদের আইনজীবীরা রিমান্ডে নেয়ার আবেদন নাকচ করে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আনিসুল, মেনন ও ইনুর পৃথক দুটি হত্যা মামলায় পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
অন্যদিকে একটি হত্যা মামলায় সালমান ও মামুনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া বিভিন্ন হত্যা মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি–বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহ্মেদ পলক, সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, হাজী সেলিম, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক ও সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।