বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে বেরিয়ে শিগগিরই নতুন ছাত্রসংগঠন গঠন করার কথা জানিয়েছেন প্ল্যাটফর্মটির বেশ কয়েকজন নেতা।
তারা বলেছেন, ‘মূলত জুলাই আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্রদের নেতৃত্বে গড়ে তোলা হবে এই নতুন ছাত্রসংগঠন।’
সম্প্রতি এক গুরত্বপূর্ণ ঘোষণার মাধ্যমে দেশের ছাত্র রাজনীতিতে নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে নতুন একটি ছাত্র সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে, যা শিক্ষার্থীদের অধিকার এবং সাম্য, ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করবে। এই নতুন সংগঠনটির উদ্দেশ্য হলো সমাজের সব স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং সামাজিক ও আর্থিক বৈষম্য দূর করা।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, তাদের মূল লক্ষ্য হবে দেশের ছাত্রদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং আন্দোলনকে আরও বৃহত্তর পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়া। তারা দাবী করেছেন, বর্তমান সমাজে ছাত্রদের জন্য অনেকেই সমান সুযোগ পায় না, বিশেষ করে দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তাদের জন্য একটি সমান এবং ন্যায্য পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।
নতুন ছাত্র সংগঠনটি বিভিন্ন ইস্যুতে ছাত্র সমাজের পাশে থাকবে, যেমন সাশ্রয়ী শিক্ষা, নিরাপদ ক্যাম্পাস পরিবেশ, শিক্ষার মান বৃদ্ধি, এবং ছাত্রদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ। সংগঠনের সদস্যরা বলেছেন, তারা শুধু আন্দোলন করবে না, বরং সমাজের বৃহত্তর পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার্থীদের একত্রিত করবে।
এই নতুন উদ্যোগের ঘোষণায় ছাত্রসমাজে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে এই সংগঠনটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং ছাত্র আন্দোলনের গতিশীলতায় নতুন শক্তি যোগ করবে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তারা।
তারা বলেন, ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’ অর্থাৎ, ‘সবার আগে ছাত্র, সবার আগে বাংলাদেশ’ এই নীতির ওপর ভিত্তি করে এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘এই সংগঠনটি কোনো মূল দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে না। এটি স্বতন্ত্র ছাত্র সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।’
নিজেদের কর্মসূচি অনুযায়ী সংগঠন পরিচালনা করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোনো লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি চর্চা করবে না তারা। দলের নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। যারা রাজনীতি করতে ইচ্ছুক তারা এই ছাত্র সংগঠনে যোগ দেবেন।’
কবে নাগাদ সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করবে বা সংগঠনের নাম কী হবে সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কিছু বলা হয়নি।
এক্ষেত্রে জনমত জরিপ ও কর্মসূচির ভিত্তিতে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নাম প্রকাশ করা হবে বলে জানান তারা।