রাজধানীর বনশ্রীতে শিশু ধর্ষণে গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বনশ্রীতে সাত বছরের শিশু ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে (৩০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোসাম্মাত রোকসানা বেগম হ্যাপী এই রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলাম বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে।

- Advertisement -

রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগারে থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁর উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবারও তাঁকে কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পিপি মো. সাজ্জাদ হোসেন (সবুজ)।ট্রাইব্যুনাল রায় বলেছেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। আসামি জঘন্য কাজ করেছেন। এ জন্য তাঁকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হলো।

ট্রাইব্যুনাল রায়ে আরও উল্লেখ করেন, আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে হাইকোর্টের অনুমোদন নিতে হবে।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুটির বাসায় পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা-মা বাসা সংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ জাহিদুলকে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে যেতে দেখেন তারা। পরে শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে যান। এরপর শিশুটি ধর্ষণের কথা তাদের জানায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।

২০২১ সালের ২৪ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার তদন্ত করে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরের বছরের ২০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলাটির বিচার চলাকালে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ইমরান হোসেন এ রায় সন্তুষ্ট নন বলে জানান। রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ আপিল করবেন বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ