চট্টগ্রামে নানা সমস্যার মধ্যে বিকশিত হচ্ছে জাহাজ ভাঙা শিল্প

 

- Advertisement -

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে আশির দশকে যাত্রা শুরু করে জাহাজ ভাঙা শিল্প। নানা সমস্যার মধ্যেও বিকশিত হচ্ছে এই শিল্প, বছরে রাজস্ব যোগান দিচ্ছে হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে ১’শ ইয়ার্ড। খোলা আকাশের নিচে পৃথিবীর বৃহত্তম শিপ রিসাইক্লিং ওয়ার্ক শপ এটি। এই শিল্পের এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ দক্ষ শ্রমিক সংকট এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঘাটতি। বর্তমানে এ শিল্পে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক কাজ করে।

বাংলাদেশে কোনো প্রাকৃতিক লোহার খনি নেই। তাই সাগরের বুক চিরে গড়ে ওঠা সীতাকুণ্ডের এই শিপ ব্রেকিং জোনটিই কৃত্তিম লোহার খনি হিসেবে পরিচিত। গুরুত্ব বিবেচনায় ২০১১ সালে এটিকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেয় সরকার। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, লোহার চাহিদা বাড়ায় এই শিল্পে রয়েছে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের প্রায় ৫’শো রি-রোলিং মিলসহ কয়েক হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামালের প্রধান যোগান আসে এখান থেকেই।

পিএইচপি শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম রিংকু বলেন, আমাদের শিপ রিসাইক্লিংটার একটি ভালো দিক হলো এখানে কম দামে ভালো মানের স্টিল পাচ্ছি।

শ্রমিক মৃত্যু, অটোমেশনের অভাব, সমুদ্র উপকূলে পরিবেশ দূষণের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মুখে পড়ে বাংলাদেশ। গত ৫ বছরে মারা গেছে ৯৮ জন শ্রমিক।

পরিবেশ কর্মীরা জানায়, জাহাজ ভাঙা শিল্পে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশ দুষণ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু তাদের দায়িত্বহীনতার কারণেই সম্ভাবণাময় এই শিল্পটি পিছিয়ে পড়ছে।

চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মকবুল হোসেন বলেন, এ শিল্পে মৃত্যু ঝুঁকি অনেক। মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে দক্ষতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিক মালিকদের সচেতন হতে হবে।

সর্বশেষ