নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় নির্বাচনের আগে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়া নিয়ে এগোচ্ছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী। ঈদের পরে এ দুই নেতা অন্যান্য দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যের একটি রূপরেখা দিতে পারেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। ২২শে সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করে জাতীয় ঐক্যের চূড়ান্ত রূপরেখা দেবেন নেতারা। এর আগে সারা দেশে গণসংযোগ এবং অন্যান্য দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন তারা।
এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গতকাল গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামানের সঙ্গে বৈঠক করেন। ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঐক্যপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আরো কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঐক্যপ্রক্রিয়া নিয়ে সন্ধ্যায় ড. কামাল হোসেনের বাসায় অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল করা হয়েছে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, অধ্যাপক বি. চৌধুরী হঠাৎ অসুস্থ বোধ করায় ওই বৈঠকটি বাতিল করা হয়। ঈদের পর দুই নেতা বৈঠকে বসবেন বলে বিকল্প ধারার নেতারা জানিয়েছেন। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, অধ্যাপক বি. চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের শরিক তিন দল ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম এক সঙ্গে কাজ করবে।
দুই নেতার নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা হবে। এ লক্ষ্য সামনে রেখে সোমবার রাতে বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানের গুলশানের বাসভবনে অনুষ্ঠিত চার দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেন। অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেন ছাড়াও যুক্তফ্রন্টের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের-জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি, চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। নেতারা জানিয়েছেন, ঈদের পর দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যপ্রক্রিয়ার একটি রূপরেখা উপস্থাপন করা হবে। ড. কামাল ও বি. চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে এর ঘোষণা দেবেন। এছাড়া ২২শে সেপ্টেম্বর মহাসমাবেশ করার যে সিদ্ধান্ত রয়েছে তা সফল করতে অন্য দলের নেতাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করা হবে।