জাহাঙ্গীর আলম সেজান : চট্টগ্রামে মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় মাদসেবী ও তার লোকজনের হামলায় গুরুতর আহত যুবক মো. আরমান (২৪) চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা একেবারে সংকটাপন্ন। গতকাল শনিবার পর্যন্ত ওই যুবকের এখনো জ্ঞান ফিরেনি বলে জানা গেছে। আরমান সায়মা প্রোপ্রার্টিজের প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছে। এ ঘটনায় সাতকানিয়ার দক্ষিণ হিলিমিলি গ্রামের আব্দুল আজিজের পুত্র ও আহতের ভাই মো. মিম হাসান(৩৩) চারজনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা (নং-৩৭) দায়ের করেছেন। মামলায় একই গ্রামের শাহ আলমের পুত্র মো. খোরশেদ (৩৩), মৃত জালাল আহমদের পুত্র মো. মিজবাহ (২২), মো. মিজান (৩৩) ও মোঃ তোফায়েলকে (২২) আসামী করা হয়েছে।
চমেক ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামীরা দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় মদক সেবন করে এলাকায় বিরুপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আসছি। তাদের মাদক সেবন থেকে দূরে থাকতে পরামর্শ দিলে বিভিন্ন সময়ে মাদক সেবীদের সাথে কথাকাটিাকাটি হয়ে আসছে আরমান ও তার সহপাঠিদের। গত ২৮ আগষ্ট রাত ১১ টায় আসামী মো. খোরশেদ ও মো. মিজান আরমানকে কৌশলে তাদের বাড়ির পাশের রাস্তা নিয়ে এলোপাথাড়ী মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে আরমানকে লাহার রড় দিয়ে মাথায় আঘাত করলে আরমান ঢলে পড়ে। পরে আরমানকে তাদের বসত ঘরের পাশে ফেলে আসামীরা চলে যায়। ক্ষনিক পরে পরিবারের লোকজন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক মাথায় ছয়টি সেলাই করে চমেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে আরমান হাসপাতালের ২৮ নং ওয়ার্ডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। পরেরদিন ২৯ আগষ্ট সাতকানিয়া তানায় মামরাটি দায়ের করা হয়ে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার এস আই মো. বাহার মিয়া বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। চেষ্টা চলছে। মো. আরমান চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।