ডেস্ক রিপোর্ট: ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর চট্টগ্রামে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে শিবির। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই চট্টগ্রামের ৩’শ ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ২০ হাজার কর্মী-সমর্থক তৈরির লক্ষ্য নিয়ে শিবির নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এর বাইরে দাওয়াতী কার্যক্রমের মাধ্যমে তৈরি করা হবে আরো ১৩ হাজার সাধারণ সমর্থক। শিবিরের যে কোনো কর্মসূচীতে এসব কর্মী-সমর্থক রাস্তায় নামবে। শিবিরের চাঞ্চল্যকর এমন তথ্য পাওয়ার পর স্কুলগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ।
শিবিরের গোপন নথিপত্র অনুযায়ী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদ্যমান ৩৩১টি উপশাখার পাশাপাশি নতুন ৫০টি ইউনিট খোলার সিদ্ধান্ত তাদের। সে সাথে নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মী-সমর্থকদের এসএমএস এর পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকতে বলা হয়েছে।
দূর্গ হিসাবে পরিচিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি চট্টগ্রাম কলেজ এবং হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজও তাদের হাতছাড়া হয়ে যায় ছাত্রলীগের কাছে। এ অবস্থায় নির্বাচনের আগেই এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল নিতে মরিয়া শিবির।
টি আই বি প্রকৌশলী জাতীয় পরিষদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘জামায়াত-শিবির সমাজ থেকে উদ্ঘাটিত হয়নি। তারা অগোচরে সংগঠিত হচ্ছে , সুযোগমত বের হয়ে আসবে।’ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ধরনে একটি অপতৎরা চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
শিবিরের বিভিন্ন আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া নথিপত্র থেকে দেখা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০ হাজার এবং সাধারণ পর্যায়ে আরো ১৩ হাজার কর্মী এবং সমর্থক তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। বিশেষ করে বিজ্ঞান ও গণিত অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান মেলা, ক্যারিয়ার কাউন্সিলিংয়ের পাশাপাশি কুইজ, বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সংগঠনে যুক্ত করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মেধাবী ছাত্র এবং প্রভাবশালী পরিবারের সন্তানদের নিয়েই জনশক্তি বাড়ানোর পরিকল্পনা শিবিরের।
সিএমপি উপ পুলিশ কমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টার্গেট হল শিক্ষার্থীদের তারা একত্র করতে পারলে ভবিষ্যতে অবস্থান শক্ত হবে।’
মহানগর আদালত পি পি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন বলেন, ‘ভেতরে ভেতরে যদি কোন তৎপরতা চালায় এর দায় ভার পড়বে পুলিশের ওপর। এ অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিবিরের তৎপরতা প্রতিরোধে স্কুল পুলিশিংয়ের কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম পুলিশ প্রশাসন।
পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রতিটা পুলিশ ষ্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বলে দেয়া হয়েছে, তারা যেন প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্র বিরোধী কোনো গোপন অপতৎপরতা থাকে সে বিষয়ে যে পুলিশ নজর রাখে এবং এসব নির্মূল করতে পারে। সূত্র: সময় টেলিভিশন