ডেস্ক রিপোর্ট: নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনিকে অবশেষে দুদিন পর গুলিভর্তি পিস্তলসহ গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
দুদিন আগে তাকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ ছিল পরিবারের। তবে পুলিশ বলছে, সোমবার সকালে তাকে ৩টি গুলিভর্তি পিস্তলসহ ফতুল্লার দাপা শিহাচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার রনি (৩০) ফতুল্লার মাসদাইর এলাকার মোস্তফা কামালের ছেলে।
এদিকে একই দিন বিকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মোহসীনের আদালতে রনিকে হাজির করে অস্ত্র আইনের মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত পুলিশ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান রিমান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রনির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। তার অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে জানতে আদালত পুলিশের আবেদনে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
রনির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন, শাখাওয়াত হোসেন খান, আজাদ বিশ্বাস, জাকির হোসেন, খোরশেদ আলম মোল্লা, আলমগীর হোসেন, আবু আল ইউসুফ খান টিপু প্রমুখ।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের জানান, সোমবার সকাল ৬টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় রনিকে আটক করা হলেও তার সঙ্গে থাকা সহযোগীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তখন রনির কাছ থেকে একটি বিদেশি তৈরি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শাফীউল আলম বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে রনির ছোট ভাই মহিবুর রহমান রানা জানান, রনি গত ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে পারিবারিক কাজে ঢাকা যায়। রাত সাড়ে ১০টা অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ঢাকা থেকে টেলিফোনে জানায় একটি কালো মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন লোক ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আমার ভাই ভাইকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছে রনি। যুগান্তর