মো.মুক্তার হোসেন বাবু : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন পিতা-মাতার যথাযথ পরিচর্যায় সন্তান শিক্ষিত ও উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠে।তাই তাদের প্রতি সন্তানের নিখাদ শ্রদ্ধা থাকলে নিজের জীবন পরিপূণ হতে পারে। স্বনামধন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারা শিক্ষার্থী তারা প্রত্যেকেই পিতা মাতার কারণেই পাঠ গ্রহনের সুযোগ পেয়েছে। এই জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীদেরকে পিতা মাতার প্রতি কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি গতকাল রোববার দুপুরে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ এর কৃতি ছাত্রী সংবর্ধনা -অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। নগরীর জি.ই.সি.কনভেনসন সেন্টার এর অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎসাহী সদস্য কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন,সাধারণ অভিভাবক জামশেদুল আলম চৌধুরী,সফিক উল আলম চৌধুরী,মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন,জিয়াউদ্দিন চৌধুরী শাহীন ও উম্মে হাবিবা আঁখি এবং বিদায়ী শিক্ষিকা মিসেস মনোয়ারা বেগম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারা বেগম।প্রধান অতিতির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন সমৃদ্ধ, আলোকিত ও মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ গড়ার এর চেয়ে বিকল্প কোন পথ খোলা নেই। আমাদের মধ্যে আত্মকেন্দ্রীকতা, স্বার্থপরতা বেশি বেশি কাজ করে বিধায় দেশের প্রতি জনগণের প্রতি ও প্রতিবেশির প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে না। শিক্ষা আভিধানিক অর্থে মৌলিক অধিকার হলেও সুযোগ না পেলে মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে না। যারা নিজেদের সম্পদ বিলিয়ে দিয়ে শিক্ষার অধিকার বাস্তবায়নের প্রয়াস নেন তারাই প্রকৃত অর্থে মহৎপ্রান ব্যক্তি।মেয়র বলেন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বহুমাত্রিক সুযোগ সুবিধায় উন্নীত ক্ষেত্রে শুধুমাত্র স্কুল কলেজ কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট নয় । এতে অভিভাবকদের স্বতস্ফুুত অংশীদারিত্ব থাকলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্ভব। একসময় চট্টগ্রামে শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে দানশীল শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ছিল। চট্টগ্রামে অনেক নামী দামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের বদান্যতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।আজ বিত্তবানদের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেশী। তবে তাদের অধিকাংশের মধ্যে শিক্ষা প্রসারে কোনো দায়বদ্ধতা নেই।তিনি বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন সমাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে এগিয়ে এলে তারা অবশ্যই অমরত্ব লাভ করবেন এবং মানুষের অন্তরে অধিষ্ঠিত হবেন। মাটি ও মানুষ এর প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসায় নিজেকে নিবেদিত করে নিজের উজ্জল ভবিষ্যৎ গড়ার পাশাপাশি ২০৩০ সালে মধ্যে দেশের টেকসই উন্নয়ন এর লক্ষ্য অর্জনে আজকের শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সভায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী,জুনিয়র স্কুল সাটিফিকেট পরীক্ষা -২০১৭,এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি-২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি ছাত্রীদের ক্রেস্ট তুলে দেন সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।