খালেদা জিয়াসহ বিএনপির যেসব নেতা কারাগারে থেকে নির্বাচনে লড়বেন

 

- Advertisement -

ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয় সংসদ নিবার্চন দুয়ারে কড়া নাড়ছে। ব্যস্ত রাজনৈতিক দল আর মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের মুখোমুখি প্রার্থীরা। চলছে জোর লবিং, তদবির। দলীয় টিকিট পেতে মরিয়া সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তবে এর মধ্যেও বিশাদের ছায়া। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত বিএনপির এমন দুই ডজন নেতা কারান্তরিন থেকেই নির্বাচনে লড়তে হবে। নিবার্চনের আগে তাদের মুক্তি মিলবে কিনা এবিষয়ে রয়েছে আইনি জটিলতা। রয়েছে ধোঁয়াশা।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুটি মামলায় তার সাজার পর থেকে কারাবন্দী। নানা জটিলতায় তার মুক্তি মেলেনি এখনো। সহসা মিলবে এমনটাও ভাবছেন না অনেকে। ফলে এবার তাকে কারান্তরিন থেকেই নির্বাচন লড়তে হবে। ইতিমধ্যে তিনি বগুড়া-১ ও ৭ এবং ফেনী-১ এ তিন আসনে দলীয় মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এর আগের নির্বাচনগুলোতে কোনো আসনে তার পরাজয়ে কোনো রির্কড নেই। তিনি ৫টি আসনে নির্বাচন করে প্রতিটিতে বিজয়ী হয়েছেন। তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।

চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী। বর্তমানে কারাগারে। কুমিল্লা-৬ ও ১০ দুই আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। ব্যবসায়ী মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়া ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে কুমিল্লা-১০ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে লড়েছেন। এবার দুই মাস ধরে কারাবন্দি।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী। দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে কারাবন্দি। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি লড়েছেন চট্টগ্রাম-৪ আসনে। এবারও তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল। ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত। সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাবন্দি।

চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস ১০ মাস ধরে কারাবন্দি। তার পক্ষে পাবনা সদর আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন নেতাকর্মীরা। সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন। হবিগঞ্জ-২ আসনে দলীয় মনোনয়ন চ’ড়ান্ত। বর্তমানে কারাগারে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। তার আসন চট্টগ্রাম-১। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনি। একই আসনে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্করও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। নগর বিএনপির শীর্ষ এই দুই নেতা কারাবন্দি।

শিশু বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিক। তার আসন টাঙ্গাইল-৮। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা থেকে ফেরার পথে তিনি গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তার আসন টাঙ্গাইল-২। এবার টাঙ্গাইল-৫ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি আবদুস সালাম পিন্টুর জন্যও টাঙ্গাইল-২ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন তাদের যুবদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান। ঢাকা-১৫ আসন থেকে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কারাবন্দি ইসহাক সরকার। ঢাকা-৭ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে আগ্রহী।

এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বগুড়ার সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, দলের গ্রাম সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনিসুজ্জামান খান বাবু এবং খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খান। তিনজনই নিজ নিজ আসন থেকে বিগত সময়ে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং এবারও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

বরিশাল বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু। ঝালকাঠি-২ আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী। দুই মাস ধরে কারাবন্দি।

সর্বশেষ