আমাদের নতুন সময় এর সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেছেন, গত এক বছর যাবৎ বিএনপি’র ভুলই খুঁজে পাচ্ছি না। খুব সতর্কতা ও কৌশলের সাথেই তারা এগুচ্ছে। সোমবার ডিবিসি নিউজ’র টক’শোতে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে না পারার চেয়েও বিএনপি’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে উনি জেলের ভেতরে থাকা। এজন্য তাদের ভোট কমবে না, বরং সিমপ্যাথির কারণে ভোট বাড়ার চান্স আছে। বিএনপি শুরু থেকে জানতো যে, খালেদা জিয়া জেল থেকে বের হচ্ছে না এবং নির্বাচনেও অংশ নিচ্ছে না। ইলেকশন কমিশন কতটুকু করবে বা করতে পারবে তারা খুব ভালো করেই জানতো। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তারা যা যা করছে এসব আসলে নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের অংশ। বিএনপি খুবই সতর্কতা ও কৌশলের সাথেই এগুচ্ছে। দে আর স্মার্টলি প্লেয়িং। এক বছর যাবৎ বিএনপি’র ভুলই খুঁজে পাচ্ছি না।
তিনি আরো বলেন, দল-বদলের উদ্দেশ্য সবসময় নির্বাচনে জয়ী হওয়া নয় এবং এটি আদর্শিক কারণেও নয়। আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইদ এর বিষয়টি হচ্ছে, রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষা। বারবার চেষ্টা করেও দলের পক্ষ থেকে সাড়া না পেয়ে উনি উনার রাজনৈতিক অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই দল-বদল করেছেন। কিবরিয়া সাহেবের ছেলেও বলেছেন, দল তাকে মূল্যায়ন করেনি। গোলাম মওলা রনির কথাও বলা যায়। এসবের পেছনে যার যার ব্যক্তিগত কারণ আছে। এগুলি মোটেও আদর্শিক কারণে না।
নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচনটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার চাপ শেখ হাসিনার উপর ছিলো। নিজের উপর নিজের চাপ বলা যায়। তিনি গতবারের মতো আরেকটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিজয়ী হতে চান না। তিনি যে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন চান না, তা তিনি খুব ভালোভাবেই প্রকাশ করেছেন। ভেঙে ভেঙে বলেছেন। একবার না, বারবার বলেছেন।
নাঈমুল ইসলাম খান আরো বলেন, ভোটের দিন কী হবে জানি না বা আজকের পরেও কী হবে জানি না, কিন্তু এখন পর্যন্ত ভীষণ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড অব্যাহত আছে। সরকারি দল এবং বিরোধী দল সমানে সমানে অগ্রসর হচ্ছে। এভাবেই যদি ভোটের দিন পর্যন্ত যায়, তাহলে অন্যরকম প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। আজ পর্যন্ত যেটা দেখা যাচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে বলা যায় যে, এই নির্বাচন হবে জ্ঞাত ইতিহাসের সবচেয়ে এক্সাইটিং নির্বাচন। উভয় দলের জন্যই এবারের নির্বাচনটা হবে চ্যালেঞ্জিং।