spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

কারাবান্দি শামসুল ইসলামের মনোনয়ন বৈধ, নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙ্গাভাব

spot_img

 

- Advertisement -

কারাবন্দি জামায়াত নেতা ও চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলামের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা হবার পর নেতাকর্মীদের মাঝে চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা গেছে।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর এই প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকা সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

সারাদেশে বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিলের হিড়িকের মধ্যেও কারাবন্দি এই জামায়াত নেতার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হওয়ায় নেতাকর্মীরা মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন এবং আগামী নির্বাচনে পরিস্থিতি যত কঠিন হোক সবধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তাদের প্রার্থী বিজয়ী করা ও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

নাজির হোসাইন নামে এক তরুণ ভোটার তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন, ‘গতকাল বাড়ি থেকে আসার পথে লোকে শুধু জানতে চায় শামসু ভাই কবে আসবে? প্রয়োজনে সব কাজ রেখে ছুটে যাবো। এইবারও আ. ন. ম. শামশুল ইসলাম বিপুল ভোটে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হবেন ইনশাআল্লাহ।’

মহানগর শ্রমিক নেতা ও লোহাগাড়ার ভোটার এস এম লুৎফর রহমান তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ চট্টগ্রাম-১৫ সংসদীয় আসনে ধানের শীষ প্রতীকের মজলুম জননেতা আ ন ম শামসুল ইসলামের মনোনয়ন বৈধ। হে আল্লাহ আপনি আগামী ৩০ তারিখের নির্বাচনে মজলুমদের পক্ষে বিজয় দান করুন।’

জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ের লক্ষে কেন্দ্রভিত্তিক কমিটি গঠন সম্পন্ন করেছে জামায়াত। একই সাথে ২৩ দলীয় জোটের অন্য শরীকদল বিএনপি-এলডিপির স্থানীয় নেতাদের সাথে সমন্বয় করে কমিটিগুলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে জামায়াতের দায়িত্বশীল সূত্র।

বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক মামলার আসামী হয়ে নীপিড়নের স্বীকার হওয়া বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা এই নির্বাচনকেই টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে নিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা নয়া দিগন্তকে বলেন, এবারের নির্বাচন শুধুমাত্র একটি গতানুগতিক নির্বাচন নয়। এটি আমাদের তথা ইসলামি ও জাতিয়তাবাদী জনতার অস্তিত্বের লড়াই। প্রয়োজনে কেন্দ্র পাহারা দিয়ে, গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয় ছিনিয়ে আনতে জরুরি নির্দেশনা এসেছে দলের কেন্দ্র থেকে।

সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় ২৩ দলীয় জোটভুক্ত দলগুলো মাঠে নামলে অন্যদের খোঁজেও পাওয়া যাবে না। কারণ, এই এলাকা ইসলামী মূল্যবোধ ও জাতিয়তাবাদে বিশ্বাসী জনতার দুর্জয় ঘাটি। বিগত ১০ বছরের সরকারী জুলুম নির্যাতনের কারণে এই এলাকার সাধারণ মানুষ অতীষ্ঠ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে এলাকার ভোটাররা ঐক্যবদ্ধ।


spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ