আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে কি হবে না তা নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কা আছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। আজ রাজধানীর পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ড. কামাল বলেন, আসন্ন নির্বাচন যাতে না হয় সে ব্যাপারে যথেষ্ট আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ ক্ষমতাসীনরা জনমত বুঝে গেছে। যে কারণে জোর করে ক্ষমতায় থাকার সব ধরনের চেষ্টাই তারা করছে। নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হয় ক্ষমতাসীনরা সে চেষ্টাই করছে বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই নির্বাচনই হবে কি হবে না তা নিয়ে আশঙ্কা আছে।
প্রার্থী, সমর্থকদের উপর আক্রমণ ও গ্রেফতারের অভিযোগ করছেন, এমতাবস্থায় নির্বাচন হবে কি-না বা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে কিনা? আশঙ্কা কী? এর জবাবে ড. কামাল বলেন, আমরা তো তথ্য দিচ্ছি। আশঙ্কা তো আছেই।
তিনি বলেন, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য খুব চেষ্টা করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে মিডিয়ারও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। ভোটাররা যেন স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেজন্য বাধা সৃষ্টিকারীদের শনাক্তের জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, খ্বুই দুঃখজনক যে, ভোটারদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। মিছিল মিটিংকারীদের আক্রমণ করা হচ্ছে, প্রার্থীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। গুলি করা হচ্ছে। আরো দুঃখজনক যে, এসব ঘটনায় কোনো তদন্ত হয় না, কোনো আইনানুগ ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, যারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনিশ্চিত করার চেষ্টা করছে, বাধা সৃষ্টি করে, আক্রমণ করে এদের ব্যাপারে সংবিধান অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা থাকলেও তা নেয়া হচ্ছে না। সে কর্তব্য পালনে আমরা ঘাটতি দেখছি। ড. কামাল বলেন, শুধু বিরোধী দলের প্রার্থীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, এটা অবাক কা-। তাদেরই আক্রমণ করে বন্দিও করা হচ্ছে! অথচ যারা আক্রমণকারী তারা আক্রমণ করেই যাচ্ছে। এগুলো উদ্বেগের। স্বাভাবিকভাবেই আশঙ্কা হচ্ছে, আসলে ভোটের দিন কী হবে?