ভোটের ফলাফলের পর থেকে আলোচনায় ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ী ৭ প্রার্থীর শপথ। এ নিয়ে ফ্রন্টের বৈঠকেও বিস্তর আলোচনা হয়েছে। অনেকে মত দিয়েছেন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৭ প্রার্থী জাতীয় সংসদে যোগ না দিলেও তারা শপথ গ্রহণ করবেন। রাষ্ট্রপতির আহবানকে সম্মান জানাবেন।
মঙ্গলবার নির্বাচন পরবর্তী নানা বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়। শপথ বিষয়ে গণফোরামের এক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেন বিজয়ী প্রার্থীদের শপথ গ্রহণের পক্ষে। শপথ গ্রহণের পর তারা নির্বাচনে অনিয়মের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করবেন।
তবে বিএনপি শপথ না নেওয়ার পক্ষে। এ বিষয়ে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একাধিকবার শপথ নিয়ে দলের সিদ্ধান্ত জানতে চাইলে তিনি শুধু বলেন, ‘আমরা তো ভোটের পুরো ফলাফলই প্রত্যাখ্যান করেছি’। আর কিছু স্পষ্ট করেননি তিনি।
কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের দাবিতে আমরা মাঠে নামবো। এই নির্বাচনে যারা বিজয়ী হয়েছেন, তাদের এই শপথ নেওয়ার কোনও কারণ নেই।’
একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পাঁচ জন দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হন। এছাড়া, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন গণফোরামের দুই প্রার্থী।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বিএনপির হারুনুর রশিদ। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, শপথের বিষয়ে আমাকে কেন্দ্রীয়ভাবে কিছু জানানো হয়নি। বুধবার আমাকে ঢাকায় তলব করা হয়েছে। আর কিছু বলা হয়নি।
গণফোরাম থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। নিজ এলাকায় সুনামগঞ্জে থাকা মনসুর এই প্রতিবেদককে বলেন, শপথ বিষয়ে আমি এখনও কিছু জানি না। আমি নির্বাচনি এলাকায় নেতাকর্মীর সঙ্গে ব্যস্ত সময় পার করছি।
গণফোরামের আরেকজন মোকাব্বির হোসেন সিলেট থেকে জয়ী হন। শপথ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।