মো.মুক্তার হোসেন বাবু : বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে কয়েক দফা। গতকাল সোমবার সকাল থেকে এই বৃষ্টিপাতের পানিতেই তলিয়ে গেছে মুরাদপুর থেকে লালখান বাজার মোড় পর্যন্ত নির্মিত ‘আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের’ বিভিন্ন অংশ। এ সময় সেতুতে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। তবে বৃষ্টি কমলেই পানি নিস্কাশন হলে ফের যানবাহন চলতে শুরু করে। হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নগরের উড়াল সড়কগুলোতে বৃষ্টি চলাকালীন সময়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান , উড়াল সড়কের বিভিন্ন অংশে বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছিল। এ কারণে সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। বৃষ্টির মধ্যে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের বিভিন্ন অংশে পানি জমে যায়। এতে প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। কিছু যানবাহন বিকল হয়ে আটকে যায়। আবার ধীরগতিতে চালাতে হয়েছে গাড়ি।
তবে সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ও আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক মো. মাহফুজুর রহমানের দাবি, ফ্লাইওভারে নালা থাকে না। রেইন ওয়াটার পাইপ থাকে। আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারে প্রতি ১০০ গজ পরপর রেইন ওয়াটার পাইপ দেয়া হয়েছে। বৃষ্টি বেশি হওয়ায় সেই পাইপগুলোতে পানি আটকে গিয়েছিল নিয়মিত সংস্কার করলে এ সমস্যা আর থাকবে না।
এদিকে নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বলেন, শক্তিশালী বৃষ্টি বলয়ের কারণে আকাশে ভারি মেঘের আধিক্য আছে। বিশেষ করে সকাল ৯ টা ১০ থেকে ১৮ পর্যন্ত ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া রেকর্ড করেছি। মূলত মৌসুমি বায়ুর পরিবর্তন ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। আগামী দু’দিন এ অবস্থা অব্যাহত থাকবে। বৃষ্টি বা বজ্র বৃষ্টির সঙ্গে মাঝারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
এক সিএনজি চালক বলেন, ফ্লাইওভারের পানি নিষ্কাশনের জন্য যে পাইপ ব্যবহার হচ্ছে, তা দিয়ে পর্যাপ্ত পানি অপসারিত হয়নি। তাই ফ্লাইওভারে জমে গেছে পানি। জমে থাকা পানি ওপর দিয়ে যান চলাচল করা অত্যন্ত ঝুঁকি।