বিরোধীদলীয় নেতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটেছে। তিনি বর্তমানে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। বুধবার থেকে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরশাদকে সিএমএইচএ’র ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বাইরে থেকে তার সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে আত্মীয়-স্বজনরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
রোববার এরশাদের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী জানিয়েছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে অক্সিজেন সাপোর্ট (কৃত্রিম শ্বাস) দেয়া হয়েছে।
এরশাদের পারিবারিক সূত্র জানায়, সাবেক রাষ্ট্রপতির লাঞ্চে পানি জমেছে, যা বের করা জরুরি। তবে তার লাঞ্জের পানি বের করলে শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটতে পারে। এরপরও চিকিৎসকরা তার লাঞ্চ থেকে পানি অপসারণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিরোধীদলীয় নেতাকে দেখে এবং সিএমএইচের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন রওশন এরশাদ। তখন তাদের ছেলে রাহ্গীর আল মাহে এরশাদ ওরফে সাদ এরশাদ তার সঙ্গে ছিল।
প্রসঙ্গত. একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে গত বছরের ২০ নভেম্বর ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সামনে সবশেষ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য রাখেন এরশাদ। এরপর অসুস্থতার কারণে আর কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেননি তিনি। ৬ ডিসেম্বর গাড়িতে করে অফিসের সামনে এলেও সেখানে বসে কথা বলেই চলে যান।
১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান এরশাদ। ভোটের মাত্র ৩ দিন আগে ২৬ ডিসেম্বর দেশে ফিরলেও নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে যোগ দেননি। এমনকি নিজের ভোটও দিতে যেতে পারেননি সাবেক এই রাষ্ট্রপতি। ভোটের পর শপথ নেন আলাদা সময়ে গিয়ে। সেদিনও স্পিকারের কক্ষে হাজির হয়েছিলেন হুইল চেয়ারে বসে। ২০ জানুয়ারি ফের সিঙ্গাপুরে যান চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে ফেরেন ৪ ফেব্রুয়ারি। তবে এখনো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাকে দেখা যায়নি। সংসদ অধিবেশনে মাত্র এক দিনের জন্য হাজির হয়েছিলেন তাও হুইল চেয়ারে ভর করেই।