প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: চট্টগ্রাম মহানগরীর ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলীতে আওয়ামী সমর্থক বিদ্রোহী ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মোর্শেদ আকতার চৌধুরীর বাসার সামনে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন যুবলীগ নেতা আনোয়ার জাহের তানভীর। রাতে চসিক নির্বাচন উপলক্ষে বশির শাহ মাজার এলাকায় মোর্শেদ আকতার চৌধুরীর পক্ষে সভা শেষ করে ফেরার পর কাউন্সিলর মোর্শেদের অফিসে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার জন্য ওই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ইসমাইলের সমর্থকদের দায়ী করা হচ্ছে।
কাউন্সিলর মোর্শেদ আকতার চৌধুরী বলেন, ‘রাতে বশির শাহ মাজার এলাকায় সভা করে আমি মিলনের বাসায় যাই। তানভীর সহ ৪/৫ জন আমার অফিসে ছিল। সেখানে অতর্কিতভাবে ১০-১৫ জন মিলে আমার অফিসে হামলা করে তানভীরকে হত্যা করে ফেললো।
প্রতিপক্ষের হামলায় আনোয়ার জাহের তানভীর পাহাড়তলী থানার আওয়ামীলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর রাত সাড়ে ১১টায় তানভীর মারা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জহিরুল হক।
এসআই জহির বলেন, কুপিয়ে আহত করার কারণে অধিক রক্ত ক্ষরণে তানভীরের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
তবে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুর রহমান বলেন, ‘মোর্শেদ আকতার চৌধুরীর অফিসে নয়, তার বাড়ির সামনের রাস্তায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত তানভীর কাউন্সিলর মোর্শেদের অনুসারী। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে তানভীরসহ কয়েকজনের পোস্টার লাগানো আর ছেড়া নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। এর এক পর্যায়ে ইসমাইলের একজন সমর্থকের ছুরিকাঘাতে তানভীর নিহত হয়েছেন। লাশ মর্গে আছে।’
এ ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। খুনের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।