spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সেগুনবাগান তা’লীমুল কুরআন কমপ্লেক্স বলাৎকারের ভয়ানক কারখানা!

spot_img

 

- Advertisement -

ফাইল ছবি

প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: সেগুনবাগান তা’লীমুল কুরআন কমপ্লেক্স বলাৎকারের ভয়ানক কারখানা বলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে। তালিমের আড়ালে কিছু বিকৃত নেশার শিক্ষক ছাত্রদের যৌন নিপীড়ন করতো বলে অধিকাংশ ছাত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন।

সূত্রে প্রকাশ ছাত্রদের বলাৎকারের ভয়ানক নেশা সেগুনবাগান তা’লীমুল কুরআন কমপ্লেক্স’র শিক্ষক নূর মোহাম্মদ’র। এই শিক্ষক বিকৃত নেশায় আচ্ছন্ন ছিল। এরপরও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ এই শিক্ষককে শিক্ষকতা করার সুযোগ দিয়ে খারাপ কাজ করার সহযোগিতা করে চলেছে। সে কোমলমতি ছাত্রদের নির্যাতনের মাধ্যমে বাধ্য করতো তার ইচ্ছা পূরণ করতে। আর কবে কোন ছাত্রকে বলাৎকার করবে খবর নিতো ছাত্রদের কাজ থেকে। এই পৈশাশিক ঘটনাগুলি দিনের পর দিন করেই চলেছে। মাদ্রাসা শিক্ষক নূর মোহাম্মদ’র বিরুদ্ধে এ অভিযোগ মায়ের কাছে করে মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্র এমরান। শিক্ষক নূর মোহাম্মদ ছোট ছেলে শিশুদের প্রতি প্রবল যৌনাসক্ত ছিল। শিক্ষকতার মহান পরিচয়ের আড়ালে এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার ছাত্রদের ধর্ষণ করে আসছে। কোনও ছাত্র রাজি না হলে বা প্রতিবাদ করলেই তার ওপর নেমে আসতো ‘হুজুরের’ নির্যাতনের খড়গ। নানা অজুহাতে ক্রমাগত মারপিটের শিকার হওয়ার পর এ কাজে বাধ্য হতো তারা।

সম্প্রতি তার দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার এমরান অভিযোগ করেন তার মার কাছে। মূলত এই শিশু বলাৎকারের আসক্তিই তাকে মাদ্রাসা শিক্ষকতা পেশায় টেনে আনে। শিক্ষকতায় নিয়োজিত থেকে অদ্ভুদ উপায়ে সে তার যৌন আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে চলে। নির্যাতনের মাধ্যমে ছাত্রদের সে ধর্ষণ করতো। এমনকি এই বিকৃত রুচির শিক্ষক এই বিষয়ে একটি ম্যাপ তৈরী করে রাখতো। অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, আপনার শিশু ছেলে বা মেয়ে যাই হোক, তার নিরাপত্তার দিকটি বিবেচনায় রাখুন। শিক্ষক হোক, আত্মীয় হোক কিংবা হোক প্রতিবেশী, আপনার সন্তানকে কারো অরক্ষিত শিকারে পরিণত হবার সুযোগ দিবেন না প্লিজ।

ঐ মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা নিজামুদ্দিন আল হুসাইনীকে মুঠেফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান ঐ শিক্ষক এখন মাদরাসায় নেই। তার ব্যাপারে খারাপ কাজের খবর জানার পর তাকে মাদরাসা থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ