আপনি জানেন কি বাল্যবিবাহ কতটা ক্ষতিকর?

আপনি জানেন কি বাল্যবিবাহ একটি দেশ ও শিশুর জন্য কতটা ক্ষতিকর? সাধারণত ১৮ বছরের আগে যে কোন বয়সের শিশুর বিবাহকেই বাল্য বিবাহ বলা হয়।

- Advertisement -

বেশিরভাগ বাল্যবিবাহে দুজনের মধ্যে শুধু একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হয়ে থাকে। বিশেষত মেয়েরাই বাল্যবিবাহের শিকার বেশি হয়। বাল্যবিবাহের কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রধানত – দরিদ্রতা, যৌতুক, সামাজিক প্রথা, বাল্যবিবাহ সমর্থনকারী আইন, ধর্মীয় ও সামাজিক চাপ, অঞ্চলভিত্তিক রীতি, অবিবাহিত থাকার শঙ্কা, নিরক্ষরতা এবং মেয়েদের উপার্জনে অক্ষম ভাবা ।

বাল্যবিবাহের ফলে সমাজে কোনো লাভ হয় বলে আমার মনে হয় না। যেকোন দেশে শিক্ষার হার থেকে শুরু করে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নবজাতকের মৃত্যু ও মাতৃমৃত্যুর সরাসরি প্রভাবিত করে বাল্য বিবাহ।

বিভিন্ন কারণেই বাল্যবিবাহের প্রচলন অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- দারিদ্রতা, নিরাপত্তাহীনতা, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণসমূহ। বাল্য বিবাহের ফলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষতি হয়। অনেক সময় শিশু বাল্য বিবাহের জন্য আত্মহত্যাও করে থাকে।

ইউনিসেফের এক জরিপে দেখা যায়, নাইজার, চাদ, মালি, ভারত, বাংলাদেশ, গিনিও মধ্য আফ্রিকার কিছু দেশে বাল্যবিবাহের হার সবচাইতে বেশি, যা প্রায় ৬০% এর উপর। ২০০৩-২০০৯ জরিপ অনুযায়ী, নাইজার, চাদ, বাংলাদেশ, মালি এবং ইথিওপিয়াতে ১৫ বছরের নিচে শিশুদের বাল্যবিবাহের হার ২০% এর উপর।

বাংলাদেশের প্রায় ৬৪ শতাংশ শিশু বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে। বাল্যবিবাহের ফলে শিশুরা যেমন লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হয় তেমনি শিশুদের স্বপ্নগুলোও নষ্ট হয়ে যায়। বাল্য বিবাহের জন্য একটি দেশের শিক্ষার হার কমবে এটাই স্বাভাবিক এবং এই শিক্ষা ছাড়া একটি দেশ কখনো উন্নতি লাভ করতে পারবে না আর শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড।

তাই ১৮ বছরের আগে কোনো শিশুকে বিয়ে দেওয়া যাবে না এবং তাকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।

প্রত্যুশ ইসলাম, প্রিয় সংবাদ

 

সর্বশেষ