চট্টগ্রামে শিগগিরই শুরু হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিটের কাজ

মো.মুক্তার হোসেন বাবু :: চট্টগ্রামে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিটের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থাপন হতে যাওয়া ১৫০ শয্যার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের জন্য নির্ধারিত স্থান ঘুরে দেখে তিনি এ মন্তব্য করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বার্ন ইউনিট নিয়ে অনেকদিন ধরে যুদ্ধ করে আসছি। আমি এই মেডিকেল কলেজের ছাত্র। আমার একটা স্বপ্ন-এখানে যেন একটা বার্ন ইউনিট হয়। আমরা কাজ মোটামুটি গুছিয়ে নিয়ে এসেছি। চীনাদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ আছে। আগামীকাল রোববার (আজ) প্রি-একনেক মিটিংয়ে বার্ন ইউনিটের বিষয়টি তোলা হবে। এরপর ডিপিপি পাস হলেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। সবাই সাহায্য করলে দ্রুত ১৫০ শয্যার বার্ন ইউনিটের কাজ শুরু হবে।

- Advertisement -


পূর্ণাঙ্গ বার্ন ইউনিট হলে চট্টগ্রামে আগুনে পোড়া রোগীরা উন্নত চিকিৎসা পাবে। এ বার্ন ইউনিটে অত্যাধুনিক আইসিইউ, এইচডিইউ ও ওটি সুবিধা থাকবে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এদিন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ৩০ শয্যার আইসিইউ ওয়ার্ড উদ্বোধন করেন ডা. সামন্ত লাল সেন। এসময় মন্ত্রী বলেন, চমেকের ছাত্র হিসেবে এটি উদ্বোধন করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচাতে এই ইউনিট ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
এদিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালকে উন্নত মেডিকেল কলেজ করার জন্য চট্টগ্রামবাসীর একটা দাবী রয়েছে, এ দাবীকে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমার লক্ষ্য হচ্ছে চিকিৎসা সেবাকে উন্নত করা যাতে করে মানুষের কষ্ট লাঘব করা যায়। আজকে রাঙ্গুনিয়া, রাঙ্গামাটির কোন মানুষকে সেখানে ভাল চিকিৎসা দিতে পারি তাহলে সেটা মেডিকেলের উপর থেকে চাপ কমবে। তাই আমার লক্ষ্য হলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের স্বাস্থ্যসেবাকে উন্নত করা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালকের দপ্তর কনফারেন্স রুমে মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইসিউ’র অভাবে অনেক রোগী মারা যাচ্ছে, এ সংকট দূরীকরণে আপনি আর কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে আজকে ৩০ শয্যার আইসিউ উদ্বোধন করা হয়েছে। এগুলোসহ মোট ৫০ শয্যার আইসিউ এখানে রয়েছে। আপনারা জানেন চট্টগ্রামের পাশাপাশি সারাদেশে আমাকে কাজ করতে হচ্ছে। এ বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অদূর ভবিষ্যতে এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে আমি আশা রাখি।
জানা গেছে, চমেক হাসপাতালের নিচতলায় অবস্থিত ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের পেছনে থাকা আগের মানসিক ওয়ার্ডে নতুন আইসিইউ ওয়ার্ডটিতে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক সব সরঞ্জাম। সর্বশেষ করোনা মহামারির সময় চট্টগ্রামে আইসিইউ সংকট দেখা দেয়।প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৬৩ বছরে মাত্র ২০টি আইসিইউ ছিল চমেক হাসপাতালে। চলতি বছর নতুন ৩০টি আইসিইউ চালু হওয়ায় মোট আইসিইউর সংখ্যা দাঁড়াল ৫০টিতে।

সর্বশেষ