spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

রাজপথে দাঁড়াতে না পারায় নিজেকেই ধিক্কার দেই: রিজভী

spot_img

 

- Advertisement -

অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে বের হতে পারি না সেটা ভাবলে নিজের কাছে নিজেকেই ধিক্কার লাগে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আয়োজনে আজ নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। বলেন, আজকে সারা জাতি অবরুদ্ধ। কচি কচি বাচ্চাদের যেভাবে রক্তাক্ত করা হয়েছে। তাদের রক্তমাখা কেডস ও রক্তমাখা শার্ট দেখলে কার না হৃদয় ভাঙে। অথচ এ ঘটনাও ঘটিয়েছে এই পাষন্ড সরকার।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কচি কচি বাচ্চাদের ওপরে হেলমেট পরে যারা আক্রমণ করেছে প্রধানমন্ত্রী তাদের দেখতে যান, কিন্তু যারা আক্রান্ত হয়েছে সেই স্কুল পড়–য়া বাচ্চাদের দেখতে যান না। এই নিষ্ঠুর দেশে আমরা এখনো বাস করছি। আমরা এখনো কেন ঘর থেকে বের হতে পারি না। কেন আমরা এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথের ইট, কাঠ, কংক্রিটের ধুলা উড়িয়ে দাঁড়াতে পারি না। সেটা ভাবলে নিজের কাছে নিজেকেই ধিক্কার লাগে। রিজভী আহমেদ বলেন, যখন খালেদা জিয়া গুলশানের অফিসে অবরুদ্ধ। তখন তার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু সংবাদ শুনতে হয়েছে তাকে। তখন তিনি শেখ হাসিনার রক্ত চক্ষুর কাছে মাথা নত করেন নি। ভয়কে তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন। খালেদা জিয়া তখন নির্ভীক ছিলেন। এটাই হল খালেদা জিয়ার বৈশিষ্ট। এটাই হল খালেদা জিয়ার ঐতিহ্য। এটা নিয়েই তিনি দশকের পর দশক জাতীয়তাবাদের পতাকা, স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্বের পতাকা উড্ডীন করেছিলেন। আজ খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন, তাকে মুক্ত করতে হবে। কারণ তার মুক্তির মাধ্যমে একজন ব্যক্তির মুক্তি হবে না। তার মুক্তির মাধ্যমে দেশের ও জনগণের মুক্তি হবে। কোকোর স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, আরাফাত রহমান কোকো নিরবে নিভৃতে চলাফেরা করতেন। সবার সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিক ছিলেন। কোন কথা বললে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে কথা বলতেন। তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। অত্যন্ত মিতভাষী ও ক্রীড়ামোদি ছিলেন। তিনি একজন ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন। এই ছেলেটিকে পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার কথা নয়। তার মায়ের ওপর জুলুম দেখে তিনি পৃথিবী থেকে চলে গেছেন।
কর্মসূচি: আগামী ১৫ই আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিবস উপলক্ষ্যে তার কারামুক্তি, আশু রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় সারাদেশের জেলা ও উপজেলায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, ঈদের দিন সকাল সাড়ে ১১ টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির সিনিয়র নেতারা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন।
দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, মহিলাদলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দলের সভানেত্রী পিয়ারা মোস্তফা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভানেত্রী রাজিয়া আলিম, সাবেক এমপি রওশনারা ফরিদ প্রমুখ।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ