মো.মুক্তার হোসেন বাবু : চট্টগ্রাম মহানগরীতে বহুল আলোচিত স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন পানিতে নেমে ‘আত্মহত্যা’ করেছে উল্লেখ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এতে বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শী ৬ জনসহ ১৬ জন সাক্ষীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও জবানবন্দি, ময়নাতদন্তের ভিসেরা রিপোর্টের ভিত্তিতে তাসফিয়ার মৃত্যু হয়েছে, পানিতে নেমে আত্মহত্যা করে।
গতকাল রোববার তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলার প্রতিবেদন চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওসমান গণির আদালতে উপস্থাপনের জন্য প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের (বন্দর) সিনিয়র সহকারী কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী ৬ জনসহ ১৬ জন সাক্ষীর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও জবানবন্দি, ময়নাতদন্তের ভিসেরা রিপোর্টের ভিত্তিতে তাসফিয়ার মৃত্যু হয়েছে পানিতে নেমে আত্মহত্যা করেছে বলে আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে।
এদিকে প্রতিবেদন দেয়ার কথা উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বলেন, তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলার ফাইনাল রিপোর্ট জমা দিয়েছে নগর গোয়েন্দা পু্লশি। নগর গোয়েন্দা পুলিশের রিপোর্টে তাসফিয়ার মত্যু পানিতে ডুবে হয়েছে বলে উলেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১ মে বিকালে বন্ধুর সঙ্গে বেড়াতে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি নগরের সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী তাসফিয়া আমিন। পরদিন সকালে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ তার বন্ধু আদনান মির্জাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদনানের কথিত বড়ভাই ফিরোজসহ এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়।