ডেস্ক রিপোর্ট: বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাকের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে এইচ টি ইমাম। এজন্য তিনি সব সময় বিব্রতকর অবস্থায় থাকেন। এই বিব্রতকর পরিস্থিতি কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খুশি রাখতে মোসাহেবদের ম্যারাথন দৌড়ে এইচ টি ইমাম এগিয়ে থাকতে চান বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এইচ টি ইমামকে নিয়ে নিজের মূল্যায়ন তুলে ধরেন রিজভী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মনে রাখা উচিত, যারা ‘হুজুরের কথায় অমতকার’বলে মোসাহেবি করেন, তারা বিপজ্জনক। বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম ‘কুশিলব’ খন্দকার মোশতাকের সহযোগী এইচ টি ইমাম।
আওয়ামী লীগের ভোট ৪২ শতাংশ, বিএনপির ৩০ শতাংশ গতকাল এক অনুষ্ঠানে দেয়া এইচ টি ইমামের এই পরিসংখ্যান তাচ্ছিল্যের সঙ্গে উড়িয়ে দিয়ে রিজভী বলেন, গায়েবি পরিসংখ্যান ব্যুরোর অধিকর্তা সেজেছেন মুজিব হত্যাকারীদের সহযোগী এই সাবেক আমলা। এইসব উদ্ভট পরিসংখ্যান এইচ টি ইমামের নিজস্ব, নাকি তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টার তা জাতির জানার আগ্রহ আছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ বক্তব্য শুধু নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী নয়, বরং আওয়ামী নেতাকর্মীদেরকে সন্ত্রাসী, হিংসাত্মক কর্মকা-ের উসকানি দেওয়ার শামিল।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন যে ভোটার ছাড়াই হবে এইচ টি ইমামের বক্তব্য সেটির-ই পূর্বাভাস। এইচ টি ইমাম এখন আওয়ামী সরকারের ‘রাসপুটিন হিসেবে কাজ করছেন।
সেজন্যই আওয়ামী লীগ এখন গণবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে।
রিজভী বলেন, এইচ টি ইমাম নামে প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা আছেন যিনি সরকারের গোপন পরিকল্পনা মাঝে মাঝে ফাঁস করে দেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করলে তিনি কীভাবে বাছাই করা প্রশাসনের লোকদের দিয়ে ভোট কেন্দ্রগুলো নিজেদের আয়ত্বে রাখতেন সেটি পরে ফাঁস করে দেন।
রিজভী বলেন, আওয়ামী সরকারের অনাচারমূলক কর্মকা-ের নির্দেশদাতা এই এইচ টি ইমাম কীভাবে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ছাড়াই বিসিএস-এ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পাস করানোর পরিকল্পনা করেছিলেন সেটিও পরে ফাঁস করে দিয়েছিলেন ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, শওকত মাহমুদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ।