অনলাইন ডেস্ক : জামালপুরে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তির অভিযোগে মানহানি মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ২০ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেছেন জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ফারজানা ইয়াসমিন লিটা। রোববার ২১ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে মামলাটি দায়ের করার পর সেটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন জামালপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোলায়মান কবির। এ ছাড়া ঢাকার আদালতে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি।
মামলার বাদী ফারজানা ইয়াসমিন লিটা জানান, মাসুদা ভাট্টি একজন নারী। তাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে পুরো নারী জাতিকেই হেয় করেছেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। এর প্রতিবাদে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
টেলিভিশন আলোচনা অনুষ্ঠানে কটূক্তির জন্য মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিক-কলামনিস্ট মাসুদা ভাট্টি। মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে চরিত্রহীন বলার পর ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এরপর তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিসহ গঠিত নতুন জোটের অন্যতম উদ্যোক্তা মইনুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন শতাধিক নারী সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীও। ১৬ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে একাত্তর টেলিভিশনের একাত্তর জার্নালে মাসুদা ভাট্টির এক প্রশ্নে তাকে নিয়ে ওই মন্তব্য করেন ব্যরিস্টার মইনুল।
অনুষ্ঠানে মাসুদা ভাট্টি তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছে যে, আপনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকেন। আসলেই আপনি জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে ওখানে উপস্থিত থাকেন কি না?” তখন তাকে থামিয়ে দিয়ে মইনুল বলেন, “আপনার দুঃসাহসের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আপনি চরিত্রহীন বলে আমি মনে করতে চাই। আমার সঙ্গে জামায়াতের কোনো কানেকশন নেই। আপনার এ প্রশ্ন আমার জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। অন্য প্রশ্ন করেন।”