দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপ শেষ হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আজ বেলা ১১টায় গণভবনে এই সংলাপ শুরু হয়। এতে অংশ নেন ঐক্যফ্রন্টের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আলোচনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
এদিকে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা প্রস্তাব দেয়নি বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। বৈঠক চলাকালীন সময়ে চা বিরতিতে এসে আওয়ামী লীগ দলীয় এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে ১০ সদস্যবিশিষ্ট নির্দলীয় উপদেষ্টা সরকার গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে নির্বাচন কমিশন পূর্ণগঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়। এসব প্রস্তাব নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের নেতারা পক্ষে-বিপক্ষে মতামত ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন।
গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদকে নিয়ে কামাল হোসেন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবনে পৌঁছান।
এ সংলাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন আওয়ামী লীগের ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আনিসুল হক, দীপু মনি, শ ম রেজাউল করিম ও আবদুস সোবহান গোলাপ। এছাড়া শরিকদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবারের সংলাপেও থাকছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
এর আগে কামাল হোসেন জোটের সাত দফা দাবি তুলে ধরে সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ‘সংবিধানসম্মত বিষয়ে’ আলোচনার জন্য গত ১লা নভেম্বর ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের গণভবনে আমন্ত্রণ জানান। ওই সংলাপ শেষে ড. কামাল হোসেন বলেন, এ আলোচনায় বিশেষ কোনো সমাধান তারা পাননি। জোটের সবচেয়ে বড় দল বিএনপির ফখরুল বলেন, আলোচনায় তারা সন্তুষ্ট নন। গত ৪ঠা নভেম্বর আবার সংলাপ চেয়ে কামালের পক্ষ থেকে আরো একটি চিঠি দেয়া হয়। এই চিঠির প্রেক্ষিতে দ্বিতীয় দফা আজ সংলাপে বসছে উভয় জোট।