spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

জাতিসংঘের বার্তা, নির্বাচনে বলপ্রয়োগ গ্রহণযোগ্য হবে না

spot_img

 

- Advertisement -

ডেস্ক রিপোর্ট: ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় কোনো রকম বলপ্রয়োগ বা জোর-জবরদস্তি গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে জাতিসংঘ। সংস্থাটির তরফে এমন বার্তাই স্পষ্ট করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকার, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দল ও জোটের প্রতি। পর্যবেক্ষক না পাঠালেও পরিস্থিতি তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে উল্লেখ করে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ভোটের মাঠে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিও প্রায় অভিন্ন বার্তা দিয়েছে জাতিসংঘ।

গত সপ্তাহে মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজের পক্ষ থেকে ঢাকায় এ বার্তা স্পষ্ট করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদর দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়েও মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বাংলাদেশের অত্যাসন্ন নির্বাচন নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে বিস্তারিত বলেছেন। মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘ বিশ্বাস করে নীতিগত কারণে বাংলাদেশে ইতিবাচক আবহে নির্বাচনটি হতে হবে। এটি অবশ্যই যেকোনো ধরনের বলপ্রয়োগ, জোরজবরদন্তি, বাধাবিঘ্ন তথা পুরোপুরিভাবে হুমকি-ধমকি মুক্ত হতে হবে। আসন্ন নির্বাচনে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর বিষয়ে মুখপাত্র বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষক নেই, আমরা কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছি না।
তবে যেটি বলতে পারি তা হলো- বাংলাদেশের নির্বাচনে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়ে অনুরোধ করেছিল নির্বাচন কমিশন।

সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ইলেকশন প্রজেক্ট’- এর আওতায় ইউএনডিপি ও ইউএন-উইমেনের মাধ্যমে কমিশনকে করিগরি নির্বাচনী সহায়তা দিচ্ছে। প্রকল্পটিতে যে বিষয়টি ফোকাস করা হয়েছে তা হলো- নির্বাচন কমিশনকে মানুষের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করা। দ্বিতীয়ত: পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও নারীদের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, তৃতীয়ত: নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে শক্তিশালী করা এবং চূড়ান্ত পর্বে যেকোনো ধরনের সংঘাত নিরসন এবং নির্বাচনী সহিংসতা প্রতিরোধে কমিশনের পদক্ষেপ গ্রহণের সক্ষমতা বাড়ানো। মহাসচিবের মুখপাত্রের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে ঢাকার দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, মুখপাত্র যা বলেন, এটিই জাতিসংঘের অবস্থান। বিভিন্ন মারফতে ঢাকায় সেই বার্তা পৌঁছানো হয়।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ