জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। একজন নারী সাংবাদিকের করা মানহানি মামলায় তাকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। এর তিন মাস পরে তিনি গত রাতে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এরপর রাত প্রায় ৯টায় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (বিএসএমএমইউ) থেকে বেরিয়ে যান। বিএসএমএমইউতে তিনি পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম বলেছেন, তারা জামিনের নির্দেশ পেয়েছিলেন গতকাল বিকালেই। তার ভাষায় ‘যাচাই বাছাই করার পর তার মুক্তির বিষয়ে আমরা ক্লিয়ারেন্স দিয়েছি।’
বিএসএমএমইউয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুণ বলেছেন, পুলিশি প্রহরায় ব্যারিস্টার মইনুলকে ৫২০ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়েছিল। জেলখানার গার্ডরা তার জামিন সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে আসার পর রাত প্রায় ৯টার দিকে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে তার দেয়া বক্তব্যে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি মানহানি মামলা করেন। এ মামলায় গত বছর ২২শে অক্টোবর পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ ব্যারিস্টার মইনুলকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় সারা দেশে তার বিরুদ্ধে ২৩টি মামলা হয়েছে।