কবুতরের মাধ্যমে ইয়াবা পাচার

কবুতরকে যেখান থেকেই ছেড়ে দেয়া হোক, কবুতর নিজের বাসস্থানে ফিরে যাবেই৷ এ তত্ত্বকে কাজে লাগিয়ে কবুতরের পুচ্ছের ওপরে মাঝখানের পালকে ইয়াবার প্যাকেট বেঁধে কক্সবাজার থেকে উড়িয়ে দেয়া হয়। আর তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ঢাকার নির্ধারিত এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে সেই কবুতর।

- Advertisement -

চার থেকে পাঁচশ’ ইয়াবা বয়ে নিতে পারে একেকটি কবুতর। শুধু কক্সবাজারই নয়; ঢাকার এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় ইয়াবা পাঠাতে কবুতরকেই বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ইয়াবা পাচারের এই অভিনব উপায়টি জানার পর মাঠে নেমেছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, কক্সবাজারের উখিয়ায় হোয়্যাইককং নামের স্থানে রেসার কবুতরের আধিক্য বেশি। তবে গত ছয় মাস আগেও এখানে কবুতরের আনাগোনা এখনকার চাইতে কম ছিল। বর্তমানে হোয়্যাইককং থেকে ঢাকার উদ্দেশে ইয়াবাসহ কবুতর পাঠানো হয় বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার সদরের কালুর দোকান এলাকা, কক্সবাজার বিমানবন্দর সংলগ্ন বাহারছড়া, কলাতলী, দড়িয়ানগর, বাংলাবাজার এলাকাতেও রেসার কবুতরের আনাগোনা আছে। কবুতর দিয়ে ইয়াবা পাচারের বিষয়টি তদন্তে একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সূত্রমতে, ইয়াবা পাচারে ব্যবহার করা হয় গিরিবাজ নামে এক জাতের কবুতর। দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রেসার কবুতরে রূপ দেয়া হয় এই পাখিকে। এছাড়া প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার জন্য ব্যবহার করা হয় থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানের হুমা জাতের কবুতর। ছয় মাস প্রশিক্ষণ দিলে এসব কবুতর এক থেকে দেড়শো কিলোমিটার দূর থেকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম।

সর্বশেষ