অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি (প্রিজন) পার্থ গোপাল বণিককে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করার পর তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে দুদক।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ওই সব টাকা ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অর্জন করে পার্থ গোপাল বণিক তার বাসায় গচ্ছিত রেখেছিলেন।
এর আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্বপালন করার সময় ওঠা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগে রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রাজধানীতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পার্থ বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কমিশনের পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফ।
পরে ঘুষ ও দুর্নীতির কয়েক লাখ নগদ টাকা বাসায় রয়েছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে পরিচালক ইউছুফের নেতৃত্বে দুদকের একটি দল তার ধানমণ্ডির বাসায় অভিযান চালায়।
দুদক পরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ আরো জানান, ৪ হাজার ৬০০ টাকা বেতনে চাকরি শুরু করেছিলেন পার্থ। বর্তমানে সবমিলিয়ে তিনি পান ৬০ হাজার টাকার মতো। তার বাসা থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা অবশ্যই ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে আয় করা বলে দাবি করেন দুদক পরিচালক।
দুদক পরিচালক বলেন, রোববার পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে ডাকা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন, ধানমণ্ডির ভূতের গলির বাসায় ৩০ লাখ টাকা আছে। এভাবে পরে আরও তথ্য দেন। সে অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে পার্থর বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার এবং একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।
আটককৃত পার্থ ও তার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, ৮০ লাখ টাকার মধ্যে ৩০ লাখ টাকা পার্থর শাশুড়ি তাকে দিয়েছেন। আর বাকি ৫০ লাখ টাকা পার্থর বেতনের একটি অংশ। ওই টাকা ব্যাংকে জমা না রেখে বাসায় রেখেছিলেন তিনি।
দুদক জানায়, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবহেলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ডিআইজি (প্রিজন) পার্থ গোপাল বণিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তার কর্মস্থল সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার।