সরকারি প্রতিষ্ঠানেরে কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ৫ হাজার কোটি টাকা!

বিভিন্ন সংস্থার কাছে জ্বালানি বিভাগের পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। একই সঙ্গে, বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোকে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি কল সেন্টার করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ বলেন, আমরা মধ্যাঞ্চলে যেভাবে গ্যাস বিতরণ করেছি, চিন্তা করছি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কীভাবে গ্যাস দেওয়া যায়। অর্থাৎ, খুলনা ও যশোর অঞ্চলে। এছাড়া, উত্তরের দিকেও গ্যাস নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়কর বিবরণী চাওয়া হয়েছে। এটা প্রকাশ করা হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিতাসের আয়কর বিবরণী চেয়েছি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য। আমরা এটা প্রকাশ করতে পারবো না। সেটা আয়কর বিভাগ থেকে নেওয়া বেটার (উত্তম) হবে। কারণ, এটা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য।
নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখানেও একটা সম্ভাবনা দেখা গেছে। আমরা নতুন নতুন টেকনোলজি নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। ভোলাতে গ্যাসের একটা বড় সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে। ভোলার গ্যাসকে আমরা আরও বড় ভাবে কীভাবে ব্যবহার করতে পারি, সে বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। আমরা সেটাকে দক্ষিণ দিকে গ্যাসলাইন নির্মাণ করে কীভাবে পটুয়াখালী পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারি, সেটার সম্ভাবনাও যাচাই-বাছাই চলছে।
তিনি বলেন, খুলনায় ইকোনমিক জোন হচ্ছে। খুলনা, যশোর, বরিশাল, পটুয়াখালী- এ অঞ্চলে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। সেখানে জ্বালানি নিরাপত্তা তৈরি করতে হবে।

সর্বশেষ