চট্টগ্রাম নগরীর ফলের সবচেয়ে বড় আড়ৎ ফলমণ্ডিতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া ফিরিঙ্গি বাজারের ফল ও কাঁচাবাজারেও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ফরমালিন পরীক্ষার জন্য অভিযান চালানো হয়।
শুক্রবার (১৮ মে) দিনভর ফলমণ্ডিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ও নওশের ইবনে হালিমের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে বিএসটিআই’র রাসায়নিক পরীক্ষক দলের সদস্যরাও ছিলেন।
ফলমণ্ডির ১০টি আড়তে রাখা ফলের রাসায়নিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এগুলো হচ্ছে গাউছিয়া ফল বিতান, ওহী এন্টারপ্রাইজ, সিহা ফ্রুট এজেন্সি, রাকিব এন্টারপ্রাইজ, ওএ এন্টারপ্রাইজ, মকবুল এন্টারপ্রাইজ, জান্নাত এন্টারপ্রাইজ, আজম অ্যান্ড ট্রেডার্স, সততা এন্টারপ্রাইজ এবং মৌসুমী এন্টারপ্রাইজ।
তৌহিদুল ইসলাম জানান, আম ও লিচুর নমুনা পরীক্ষায় দ্রুত পাকানোর জন্য ইথোফেন জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয়েছে বলে সন্দেহ হয়েছে। এজন্য নমুনা সংগ্রহ করে বিসিএসআইআর’র ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এসময় সব আড়তে বিএসটিআই অনুমোদিত ওজন স্কেল ব্যবহার এবং মূল্য তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে ফিরিঙ্গি বাজারে ওজনে কম দেওয়ায় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রেতাকে ২০০ টাকা, মসলা বিক্রেতাকে ৫০০ টাকা এবং গরুর গোশত বিক্রেতাকে ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।