প্রিয় সংবাদ ডেস্ক:: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কোনো অনুমোদন ছাড়া নির্বাচন কমিশন এলসি খুলে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ইভিএম মেশিন কিনেছে। এতে দেশের জনগণের চার হাজার কোটি টাকা অপচয় হয়েছে। দুর্নীতির টাকাও পকেটে ঢুকে গেছে। ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার স্বার্থে, এ দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে, মানুষের অধিকারের স্বার্থে দয়া করে মেশিনগুলো বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিন।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘নির্বাচনে ইভিএম চাপিয়ে দেওয়া ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম নামে একটি সংগঠন।
আমীর খসরু বলেন, জবাবদিহিকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে নির্বাচন কমিশন ইভিএম কিনেছে। যেখানে পাশের দেশে একটি ইভিএমের দাম ২১ হাজার টাকা সেই ইভিএম আমাদের নির্বাচন কমিশন কিনেছে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা দরে। নির্ধারিত দামের প্রায় ১১ গুণ বেশি দিয়ে মেশিনগুলো কেনা হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা প্রযুক্তি বোঝে, যারা প্রযুক্তির জন্ম দেয়, ভোটাধিকার নিয়ে শঙ্কা থাকায় সেসব দেশে ইভিএম বাদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ব্যালটবাপে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সই দিয়ে দিনে ভোট চুরি করা এতটা সহজ নয়, সেটা আওয়ামী লীগ ৩০ তারিখের নির্বাচনে বুঝতে পেরেছিল। তাই ২৯ তারিখ রাতে ভোট ডাকাতি করেছে। তাই তারা নতুন অধ্যায় চালু করেছে। আর সেই অধ্যায় হলো ইভিএম।
ঢাকা সিটি নির্বাচন নিয়ে আমীর খসরু বলেন, ইতোমধ্যে প্রি-ইলেকশন রিগিং শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অপেক্ষার আর প্রয়োজন নেই। তারপরও নির্বাচনে যাচ্ছি। কারণ একেকটি নির্বাচন একেকটি কারচুপির মাইলফলক, একেকটি নির্বাচন একেকটি গণতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রমের মাইলফলক, একেকটি নির্বাচন এই সরকারের মানুষের ভোট কেড়ে নেওয়ার মাইলফলক, তাদের বিতাড়িত করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনার তাদের কথা দিয়েছিলেন ৩০ তারিখ পর্যন্ত কোনো গ্রেপ্তার হবে না, অভিযান চলবে। কিন্তু বাস্তবে গ্রেপ্তারও চলছে, অভিযান চলছে, আক্রমণ চলছে, হামলা চলছে। হামলা মামলার মাধ্যমে তারা ভয়ভীতি সৃষ্টি করছে।
সংগঠনের সহসভাপতি মেহেদি হাসান পলাশের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ বক্তব্য দেন।