‘জিয়া তখন সরকারি চাকরি করতেন, মন্ত্রী-এমপি ছিলেন না’

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গতকাল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী আবারও স্বাধীনতার ঘোষক সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অসত্য, অশোভন কথা বলেছেন, যা অসুস্থ মনের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি বলেন, আমার একটাই প্রশ্ন- প্রধানমন্ত্রী বারবার জিয়ার কথা বলেন, জিয়া তখন সরকারি চাকরি করতেন, কোনো মন্ত্রী-এমপি ছিলেন না।

‘কিন্তু যারা খন্দকার মোশতাকের সরকারে মন্ত্রী এবং সেই সময়ের পার্লামেন্ট এমপি ছিলেন তাদের কথা একবারও উল্লেখ করেন না। কারণ তারা সবাই ‘৭৫ এর ১৫ আগস্টের আগে আপনার মরহুম পিতার নেতৃত্বে সরকারেও খন্দকার মোশতাকসহ তারা মন্ত্রী-এমপি ছিলেন। আর সে কারণেই খন্দকার মোশতাকের কেবিনেটে শপথ পাঠ করিয়েছেন সে কথা আপনি কখনোই উচ্চারণ করেন না।’

বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী আরও বলেন, আপনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রী টাঙ্গাইলের আব্দুল মান্নান কীভাবে আপনার অধীনেই রাজনীতি করেছেন এবং এমপি হয়েছেন? মালেক উকিল সাহেব স্পিকার ছিলেন এবং আপনার পরিবারের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের পর সেটিকে সাফাই গেয়ে বিদেশ থেকে মন্তব্যও করেছিলেন, অথচ সেই মালেক উকিলের গড়া আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।

‘সুতরাং অন্যকে দোষারোপ না করে নিজের লোকদের দিকে তাকালেই আপনি ইতিহাসের বহু মীর জাফর দেখতে পাবেন।’

শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও অপবাদ দেয়া মানেই মুক্তিযুদ্ধকেই অপমান করা মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা প্রধানমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

ভিডিও কনফারেন্সে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গতকাল জাতীয়তাবাদী যুবদল কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বিপ্লবকে সাদা পোশাকে পুলিশ বাহিনী আলচারা নিজ অফিস থেকে তুলে নিয়ে মিথ্যা মামলায় কারাগারে প্রেরণ করেছে।

বিপ্লবকে কারাগারে প্রেরণের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান রিজভী।

সর্বশেষ