‘ক্ষমতায় থাকার জন্যই আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে’

 

- Advertisement -

প্রিয় সংবাদ ডেস্ক :: যেকোন উপায়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম রব। আজ মঙ্গলবার জেএসডি আয়োজিত ‘কর্নেল তাহের দিবস’ উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। আজ মঙ্গলবার কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তমের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। জেএসডি এ দিনটিকে ‘তাহের দিবস’ হিসেবে পালন করে।

আ স ম রব বলেন, সশস্ত্র মুক্তি সংগ্রামের পর ১৯৭২ সালের সংবিধানে সশস্ত্র যুদ্ধের চেতনার পরিপূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি। অনুপোযোগী সংবিধানের কারণেই রাজনীতিতে অপশক্তির উত্থান ঘটেছে। গণতন্ত্র আইনের শাসন সব ভূলুণ্ঠিত। রাতের আধারে ভোট ডাকাতির সংস্কৃতি ব্যাপক বিস্তার লাভ করায় সরকারের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। কোন ক্ষেত্রে সরকারের এখন নিয়ন্ত্রণ নেই।

করোনা মোকাবিলাসহ সরকার সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থ। জাতীয় ঐক্যের সরকার ছাড়া বিদ্যমান সংকট মোকাবেলার আর কোন বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, দেশ মাতৃকার মুক্তির লড়াইয়ে কর্নেল তাহের ছিলেন সংগ্রামী বীর। শোষণমূলক নিপীড়নমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা উচ্ছেদের লড়াই করতে গিয়েই কর্নেল তাহেরকে প্রাণ দিতে হয়েছে। বিদ্যমান রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিবর্তন করা অনিবার্য হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রকাঠামোর আমূল পরিবর্তনে ১০ দফা এবং সিরাজুল আলম খানের ১৪ দফা উত্থাপন করা হয়েছে। রাষ্ট্রের মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া রাষ্ট্র বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়বে। সুতরাং কাঠামোগত সংস্কার এখন জাতীয় মৌলিক করণীয়তে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রব্যবস্থার বিদ্যমান ঔপনিবেশিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন করেই কর্নেল তাহেরের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই সামরিক আইনের অধীনে এক ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহেরকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। এই প্রহসনমূলক মামলায় সিরাজুল আলম খান, মেজর জলিল, আ স ম আবদুর রব সহ অন্যান্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

আ স ম আবদুর রব এর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, কার্যকরী সহ-সভাপতি সা কা ম আনিসুর রহমান কামাল, মো. সিরাজ মিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, স্থায়ী কমিটির সদস্য তৌহিদ হোসেন, বাবু হীরালাল চক্রবর্তী, এডভোকেট আব্দুর রহমান মাস্টার, সহ-সভাপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরী সুইট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. জবিউল হোসেন, এডভোকেট বেলায়েত হোসেন বেলাল, লোকমান হাকিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সৈয়দা ফাতেমা হেনা, অধ্যাপক আমির উদ্দিন, জিয়াউল কবীর দুলু, আমিন উদ্দিন বিএসসি, এস এম শামসুল আলম নিক্সন, বিভাগীয় সম্পাদক এডভোকেট মিয়া হোসেন ও এডভোকেট তৈমুর রেজা শাহজাদ ভুঁইয়া, বোরহান উদ্দিন চৌধুরী রোমান প্রমূখ।

সর্বশেষ