spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

চট্টগ্রামে আরো একটি করোনা ইউনিটের যাত্রা শুরু

spot_img

সিরাজুল আলম টিপু:: চট্টগ্রামে মানুষের টাকায় গড়ে উঠেছে মানুষের হাসপাতাল। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে হাতে হাত মিলিয়ে সকলের সহযোগিতায় মানুষের ভালবাসায় গড়ে তোলা কোভিড-১৯ বিশেষায়িত এই হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার ফটিকছড়ির সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাসপাতালের শুভ উদ্ভোধন ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
জানা গেছে, হাসপাতালটি কোভিড-১৯ হাসপাতালে রুপান্তর করতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা এবং প্রতি মাসে খরচ পড়বে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা। সাংসদ হাসপাতালটির উন্নয়নে এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্ববান জানালে হাসপাতালটির উন্নয়নে এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ, সংগঠন, সংস্থা, স্কুল সহায়তায় এগিয়ে আসেন। এমনকি শিশুরাও তাদের ঈদ সালামির জমানো টাকা, বাই সাইকেল কেনার টাকা নিয়ে এগিয়ে আসেন। এ হাসপতালটি গড়ে তুলেতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সায়েদুল আরেফিন।
এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, ফটিকছড়ি পৌরসভা মেয়র ইসমাইল হোসেন, ডা. জয়নাল মুহুরীসহ আরো অনেকে এ হাসপাতালটি গড়তে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া এ হাসপাতালটির প্রচার-প্রচারণায় এবং উদ্বুদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে কিছু তরুণদের উদ্যোগে ফেইসবুকে গড়ে উঠা প্রচারণা টিম ফটিকছড়ি কোভিড-১৯ হাসপাতাল। এ টিম প্রচারণায় বিশেষ অবদান রাখছে। যা সত্যি প্রশংসনীয়।
গতকাল উপজেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধা জহরুল হক হল রুমে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জানে আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব, মহিলার ভাইস-চেয়ারম্যান জেবুন নাহার, ভাইস-চেয়ারম্যান এডভোকেট ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, ফটিকছড়ি থানা অফিসার্স ইনচার্য বাবুল আকতার, ফটিকছড়ি পৌরসভা মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ডা. জয়নাল আবেদীন মুহুরী, ডা. আবুল বাশেত প্রমুখ।
কনফারেন্সে সাংসদ সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ফটিকছড়িবাসীর সুচিকিৎসার কথা বিবেচনা করে হাসপাতালটিকে কোভিড-১৯ এর রোগীর জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। কোন মানুষ যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়। সেজন্য উদ্যোগ নিয়েছি। মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এ হাসপাতাল উপহার দিলাম।
হাসপাতালটি সরকারী হিসাবে বন্ধ থাকায় এতে কোন প্রকার বরাদ্দ না থাকা স্বত্বেও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা হাসপাতালটি কোভিড-১৯ হাসপাতালে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি। যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে এসেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ