মো.মুক্তার হোসেন বাবু:: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, মেয়াদউর্ত্তীণ হওয়া নির্বাচিত পরিষদ বিলুপ্ত হবার পর যে দায়িত্ব কাউন্সিলর পালন করতেন সে ক্ষেত্রে কোন ধরনের স্থবিরতা থাকবেনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসক হিসেবে যে অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব প্রদান করেছেন তা পালনে ওয়ার্ড সচিবরা আমার সহায়ক শক্তি। তাদের মাধ্যমেই নগরবাসীর সাথে আমার যোগাযোগ সমন্বয় ঘটবে। নগরবাসী ট্যাক্স দিয়েই বেতন-ভাতা প্রদান ও নগর উন্নয়ন করতে হয়। তাই নগরবাসীর সেবাদান করা একটি পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। তিনি গতকাল মঙ্গলবার সকালে আন্দরকিল্লাস্থ চসিক নগর ভবনে কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে ওয়ার্ড সচিব ও জন্ম নিবন্ধনকারীদের সাথে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় একথাগুলো বলেন। তিনি ওয়ার্ড সচিবদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন বিভিন্ন সনদপত্র প্রদানসহ নাগরিকদের সেবাদান কাজে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে, তাই প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে আমার প্রতিনিধি হিসেবে দেয়া হবে। নিজেদের অভিজ্ঞতা ও এলাকার গণ্যমান্যদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে ওয়ার্ড সচিবদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই ক’দিনের অভিজ্ঞতায় দেখতে পেলাম পরিচ্ছন্ন বিভাগে কর্মরত-অনেক সেবক কাজ না করেও হাজিরা দেন। এ ব্যাপারে ওয়ার্ড সচিবদের দৃষ্টি দিতে হবে। ওয়ার্ডের সমস্যা কোথায় কী, কোথায় জনদুর্ভোগ হচ্ছে, কোথায় সড়ক বাতি নেই তার খোঁজ নিতে হবে এবং চসিক সচিব মহোদয়কে এসব জানাতে হবে। তিনি সুরাহা করতে আমার শরাপন্ন হবেন। তিনি ওয়ার্ড সচিবদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, চারিত্র্যিক সনদ ও অন্যান্য সনদ প্রদানের জন্য কোন টাকা নেয়ার বিধান নেই। জন্মনিবন্ধন সনদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ফি’র বেশি নেয়া যাবে না। ঠেকায় ফেলে কারো উপর জুলুম করাও যাবে না। তিনি জানান, ওয়ার্ড সচিবদের চসিক সদর দপ্তরের যোগাযোগ রাখার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা তৈরী করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিদিন যোগাযোগ করতে হলে বাজেট প্রয়োজন। আগে কাউন্সিলরদের খাতে মাসে চার হাজার টাকা করে দেয়া হতো। নির্বাচিত পরিষদ বিলুপ্ত হওয়ায় ঐ টাকা সচিবদের দেয়ার যৌক্তিকতা বিবেচনা করা হবে। তিনি ওয়ার্ড সচিবদের সমস্যাগুলো লিখিত আকারে চসিক সচিব মহোদয়ের কাছে জমা দেয়ার আহŸান জানান। তিনি বলেন, করোনাকালে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শিক্ষনীয় বিষয়গুলো আতœস্থ করে সেবা পরিধি বিস্তৃত করতে হবে। প্রশাসক ওয়ার্ড সচিবদের নির্দ্দিষ্ট অফিসকার্যের বাইরে গিয়ে সচেতন নাগরিক হিসেবে স্ব স্ব ওয়ার্ডের হালচিত্র খোঁজ খবর রাখা ও সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, একজন ওয়ার্ড সচিব হিসেবে তাঁর ওয়ার্ডে কি কি সমস্যা আছে বিশেষ করে রাস্তার ফুটপাত সমূহ দখলমুক্ত আছে কিনা তার তথ্য রাখতে হবে। হকারদের শৃংখলায় আনায়নে ইতোমধ্যে প্রত্যেক ওয়ার্ডে মাইকিং প্রচার করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রশাসক বলেন, হকারদের নির্দ্দিষ্ট সময়ে ব্যবসা করা, জায়গা মার্কিং করণ, নির্দ্দিষ্ট ব্যাচ ও ইউনিফরম, রাস্তার একপাশে ব্যবসা পরিচালনাসহ নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে চসিক। যা আগামী ৪ সেপ্টেম্বর হতে কার্যকর করা হবে। এক্ষোত্রে প্রথমে স্টেশন রোড ও আগ্রাবাদ এলাকা দিয়ে এর আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। মতবিনিময় সভায় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুফিদুল আলম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়–য়া, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, উপসচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু উপস্থিত ছিলেন।