spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

হোয়াইট হাউসে বাজছে ট্রাম্পের বিদায়ের ঘণ্টা

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: হোয়াইট হাউসে বাজতে শুরু করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায়ের ঘণ্টা। নাটকীয় নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গত চার বছর প্রায় প্রতিদিন প্রেসিডেন্ট ভবন মাতিয়ে রেখেছিলেন তিনি। হোয়াইট হাউসে বাজতে শুরু করেছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায়ের ঘণ্টা। নাটকীয় নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গত চার বছর প্রায় প্রতিদিন প্রেসিডেন্ট ভবন মাতিয়ে রেখেছিলেন তিনি।

এমন কম দিনই গেছে, যেদিন সংবাদের শিরোনাম হননি। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন।

এই সত্য ও বাস্তবতা এড়াতে পারছেন না। পরাজয় না মানলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্ষমতা ছাড়ার। এখন বিদায় নেয়ার পালা। হোয়াইট হাউসে তাই বিদায়ের করুণ আবহ বিরাজ করছে।

গত দুই সপ্তাহ ধরে কোনো প্রাণচাঞ্চল্য নেই। অনেকটাই শান্ত হয়ে পড়েছে ওয়েস্ট উইং নামে সব সময় গমগম করা এলাকাটিও। খবর এনবিসি, বিবিসি ও এএফপির।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর প্রায় তিন সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। ভোট গণনা ও বুথফেরত জরিপে পরাজয় স্পষ্ট হলেও তা মানতে অস্বীকার করতে থাকেন ট্রাম্প। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে দাঁড় করান উদ্ভট সব অভিযোগ।

এমনকি শুরু করেন আইনি লড়াইও। কিন্তু একে একে যখন তার সব দরজা বন্ধ, তখন বাধ্য হয়েই ক্ষমতা ছাড়ার ইঙ্গিত দেন। সেই সঙ্গে নিজের প্রশাসনকে দিয়েছেন হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় প্রয়োজনীয় সব কিছু করার নির্দেশ।

সোমবার ট্রাম্প বলেন, ‘ক্ষমতা হস্তান্তরে ফেডারেল এজেন্সির যা যা করা দরকার তারা তা শুরু করতে পারে।’

প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া দেখভালের দায়িত্ব বর্তায় স্বাধীন ফেডারেল প্রতিষ্ঠান জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিএসএ) ওপর।

আগামী ২০ জানুয়ারিই হোয়াইট হাউস ছাড়তে হচ্ছে ট্রাম্পকে। এরই মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার প্রশাসনিক কাজ শুরু করেছেন। ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে যোগাযোগ করছেন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে।

বাইডেন বলেছেন, ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ‘আন্তরিক’ সাড়া পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার এনবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত হোয়াইট হাউসের পক্ষ দেখে রুষ্ট আচরণ দেখেননি এবং তা দেখতেও চান না।

হোয়াইট হাউসের পরিস্থিতি জানিয়ে এক প্রতিবেদনে পলিটিকো বলেছে, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারশিবিরেও নীরবতা বিরাজ করছে। থ্যাংকস গিভিং উপলক্ষে অনেক কর্মী প্রচারশিবির ছেড়ে গেছেন।

এসব কর্মী জানেন, শিগগির তাদের অন্য কোনো কাজ খুঁজে নিতে হবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল বিপক্ষে যেতে শুরু করলে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার অফিস থেকে প্রেস ব্রিফিং কমতে শুরু করলেও ট্রাম্পের টুইট বার্তা অব্যাহত থাকে।

তার মুখপাত্র হয়ে ওঠেন আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি। টুইট বার্তায় ট্রাম্প জানাতে থাকেন, নির্বাচনে তার পরাজয় হয়নি। জালিয়াতি হয়েছে। ট্রাম্পের প্রচার মুখপাত্র টিম মুর্তোফ বা বিল স্টিফেনকে এখন টুইটারেও অনুপস্থিত দেখা যাচ্ছে। সবাই ছেড়ে যাওয়ার পর অনেকটাই একা হয়ে পড়ছেন ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের মধ্যেও কোনো চাঞ্চল্য নেই। প্রেস রুম থেকে পুরো ওয়েস্ট উইংয়ে বিরাজ করছে নীরবতা।

ট্রাম্পের এক সময়ের বেসরকারি অর্থনৈতিক উপদেষ্টা স্টিফেন মোর বলেছেন, সব জানালা বন্ধ হয়ে পড়ছে। নিজেকে একা করে ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ভিত্তিকেও নড়বড়ে করে দিচ্ছেন।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ