spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

নারায়ণগঞ্জে কিশোরীকে ৪ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ

spot_img

 

- Advertisement -

প্রিয়সংবাদ ডেস্ক :: নারায়ণগঞ্জে সেহরি খেতে নানীর সঙ্গে নিজ বাসায় যাওয়ার পথে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৩ বছরের এক কিশোরী। তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে চারদিন আটকে রেখে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফতুল্লার দেওভোগ মাদ্রাসা এলাকায়। এ ঘটনায় পুলিশ মো. রিফাত (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত রিফাত পশ্চিম দেওভোগ পশ্চিম নগরের শেষ মাথার হাকিম ভিলার ভাড়াটিয়া সুরুজ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা কিশোরীর মা বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।

মামলার তথ্য মতে, কিশোরীকে নিয়ে তার মা দেওভোগ এলাকায় বসবাস করেন। কিশোরীর নানী মামা-মামীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী আদর্শনগরে ভাড়া বাসায় থাকেন। বুধবার কিশোরী ইফতারের পূর্বে তার নানীর বাড়িতে যায়।

ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে নানীকে নিয়ে সেহরি খাওয়ার জন্য নিজ বাসার দিকে রওনা দেয়। বাসার গেট থেকে বের হওয়া মাত্র রিফাত আশরাফ আলীর পুত্র মিনু রাসেল (৪০) ও সিফাত (২২) জোরপূর্বক কিশোরীকে মুখ চেপে ধরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় কিশোরীর মা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করা হয়। পরবর্তীতে কিশোরীর মা তার মেয়েকে খোঁজ করতে থাকেন।

চারদিন পর রোববার রাত ৭টার দিকে স্থানীয়রা রিফাতকে আটক করে অপহৃত কিশোরীর ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে রিফাত স্বীকার করে যে কিশোরীকে মিনু রাসেলের টিনের ঘরে আটকে রাখা হয়ছে। এরপর পুলিশে সংবাদ দিলে পুলিশ মিনু রাসেলের টিনের ঘরে অভিযান চালিয়ে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারসহ গ্রেপ্তার করে রিফাতকে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় মিনু রাসেল ও সিফাত।

নির্যাতিত কিশোরী জানায়, তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার পর সিফাতের সহায়তায় মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে রাত সাড়ে ৪টার দিকে মিনু রাসেল তাকে পরপর দুইবার ধর্ষণ করার পর ঘরের ভেতর আটকে রাখে। একই দিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রিফাত তাকে ধর্ষণ করে। এভাবে প্রতিদিন পর্যায়ক্রমে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে জানায় কিশোরী।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) কাজী মাসুদ রানা জানায়, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে কিশোরীকে উদ্ধারসহ রিফাত নামক এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ