ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার খাদিজাতুল কুবরা নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে আদালতে হাজির করলে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেন।
এর আগে শনিবার রাতে জবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত খাদিজাতুল কুবরাকে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর নিউমার্কেট থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে খাদিজাতুল কুবরাসহ দুজনকে আসামি করে মামলা করেন পুলিশের উপপরিদর্শক খাইরুল ইসলাম। ওই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় খাদিজাতুল কুবরাকে। মামলার অপর আসামি মেজর (অব.) দেলোয়ার হোসেন।
মামলার এজাহার বলা হয়, ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর মেজর দেলোয়ার হোসেনের ইউটিউব চ্যানেলে “হিউম্যানিটি ফর বাংলাদেশ ওয়াজ লাইভ” শিরোনামে এক ভিডিও দেখতে পান পুলিশের উপপরিদর্শক খাইরুল ইসলাম। সেখানে সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরার উপস্থাপনায় মেজর দেলোয়ার হোসেন (অব.) তার বক্তব্যে বাংলাদেশের বৈধ গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন।
এতে আরও বলা হয়, সঞ্চালক খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর দেলোয়ার তাদের ইউটিউব চ্যানেল ও ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজগুলোতে উল্লিখিত ভিডিওগুলো আপলোড করে দেশের চলমান স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তারা তাদের মিথ্যা তথ্যপূর্ণ আলোচনা ইউটিউব, ফেসবুকে প্রচার করে দেশের সাধারণ জনগণকে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে তাদেরকে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত করার চেষ্টা করেছেন।
এছাড়া তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করেছেন। সেইসঙ্গে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। তাই আসামিরা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারা লঙ্ঘন করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলার তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৬ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম। আদালত চার্জশিট গ্রহণ করে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তবে মেজর দেলোয়ার এখনও পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।