spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

বিএনপির সম্মেলন মঞ্চে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আ.লীগের বিরুদ্ধে

spot_img

নেত্রকোনা বারহাট্টা উপজেলা সদরের গোপালপুরের ফায়ার সার্ভিস মোড় এলাকায় উপজেলা বিএনপি আয়োজিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের মঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

- Advertisement -

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে সেখানে সশস্ত্র হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় এলাকাবাসী, বিএনপি দলীয় নেতাকর্মী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকালে ৩টার দিকে গোপালপুরের ফায়ার সার্ভিস মোড় এলাকায় উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন আহ্বান করা হয়। সম্মেলন উদ্বোধন করার কথা ছিল জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হকের। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়া কথা ছিল কেন্দ্রীয় কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখার কথা ছিল ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুনের। তবে হামলা ও অগ্নিসংযোগের কারণে তা পণ্ড হয়ে যায়।

বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মোস্তাক আহমেদ দাবি করেন, সম্মেলন সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি যখন প্রায় শেষ ঠিক ওই সময় দুপুর ১টার দিকে বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাঈনুল হক কাশেমের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি গোপালপুর বাজারের ফায়ার সার্ভিস মোড় এলাকায় বিএনপির সম্মেলন স্থলে এসে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এই সময় সেখানে বিএনপির তেমন নেতাকর্মী না থাকায় কোনও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে আপাতত সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।

অধ্যাপক ডা.  মো. আনোয়ারুল হক এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর আগেই সেখানে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা মঞ্চ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে সম্মেলনটি পণ্ড করে দেয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাঈনুল হক কাশেম দাবি করেন, ‘আমার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করেছিল। পরে খবর পাই স্থানীয় বিএনপি ফায়ার সার্ভিস মোড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে জড়ো হচ্ছে। এ কারণেই আমরা মঞ্চটি ভেঙে দিয়েছি। বারহাট্টায় কোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না।’

বারহাট্টা থানার ওসি মো. লুৎফুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।’

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ