চীনের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর দুর্গতদের জীবন বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা, কিন্তু তারপরও মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল সিচুয়ানের লুদিং কাউন্টিমুখি সড়কগুলো উদ্ধারকর্মীরা ফের চালু করতে পেরেছেন আর সেসব পথে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে বলে বুধবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
চীনের পিপলস ডেইলির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মোট ২৫৯ জন আহত ও ২৬ জন নিখোঁজ ছিলেন।
২০১৭ সালের পর থেকে সিচুয়ানে হওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে বহু ভবন ধসে পড়েছে। টেলিযোগাযোগ, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চীনের ইংরেজি ভাষার সংবাদ চ্যানেল সিজিটিএন জানিয়েছে, তিন শতাধিক বেইস স্টেশন ও ১৩৪ কিলোমিটার অপটিক ফাইবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ এবং ১৬ হাজারের বেশি লোক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭৭টি বেইস স্টেশন চালু করা সম্ভব হয়েছে এবং প্রায় ২২ হাজার পরিবারের বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করা গেছে।
দমকলকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকা পড়া অন্তত ৯২ জনকে উদ্ধার করে গাড়িযোগে নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারা প্রায় ৩ হাজার বাড়ি পরিদর্শন করে সবকিছু পরীক্ষা করে দেখেছেন এবং আরও লোকজনের খোঁজে কাজ করে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার লুদিং কাউন্টি থেকে ১১ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বুধবার ভোরে চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার লুদিংয়ে ৩ মাত্রার একটি পরাঘাত রেকর্ড করেছে। ভূপৃষ্ঠের ১২ কিলোমিটার গভীরে এর উৎপত্তি হয়।
বুধবার থেকে ভূমিকম্প দুর্গত অঞ্চলটিতে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এতে উদ্ধারকাজ আরও কঠিন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।