spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

রংপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ:দেড় হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

spot_img

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে।

- Advertisement -

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে পুলিশ। গঙ্গাচড়া থানার ওসি (তদন্ত) মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে নেতা-কর্মীদের নিহতের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি। মিছিল নিয়ে গঙ্গাচড়া বাজারের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ ঘটনায় গঙ্গাচড়া থানার ওসি দুলাল হোসেন ও সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।

ঘটনাস্থল থেকে বিএনপি ও ছাত্রদলের সাত নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে চার জনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ হয়। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তারা হলেন—বিএনপি নেতা মাহবুব আসিফ, যুবদল নেতা সিন্দিদ, অয়ন ও নয়ন।

এদিকে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, মামলায় গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান মাবু, সাধারণ সম্পাদক আখিরুজ্জামান মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন লিজুসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের উপজেলার শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়েছে।

ওয়াহিদুজ্জামান মাবু অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশের আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা চালায়। গুলি ছুড়ে, টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করে শতাধিক নেতাকর্মীকে আহত করেছে। উল্টো মামলা করার আগেই দলের শতাধিক নেতা-কর্মীর বাড়িতে হানা দিয়ে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করেছে।’

জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‌‘গঙ্গাচড়ায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের হামলা চালানোর ঘটনায় নিন্দা জানাই। নেতা-কর্মীদের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।’

গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) মমতাজুল হক জানান, গত বৃহস্পতিবার পুলিশের ওপর হামলা চালানো ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে মামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে।

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ