বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
spot_img

বিচারিক আদালতে সময় নষ্ট করে লাভ নেই: আমির খসরু

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে হলে বিচারিক আদালতে সময় নষ্ট করে কোন লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধরী। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের আয়োজনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের পৈশাচিক হামলার প্রতিবাদে এক প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশনেত্রী ও মাদার অব ডেমোক্রেসি খালেদা জিয়া আজ জেলে। একটি মিথ্যা মামলার মাধ্যমে উনি কারাগারে পড়ে আছেন। তিনি বিচার পাচ্ছেন না। খালেদা জিয়া বিচার পাবেন কি করে, এটা তো বিচারিক কোন বিষয় নয়।
এরচেয়ে বেশি বলা যাচ্ছে না। এটা হল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন। এখানে বিচার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। দেশের মানুষের কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের মানুষ বিচার বিভাগ থেকে কোন বিচার প্রত্যাশা করছে। সুতরাং যে বিষয়টি রাজনৈতিক সেখানে আপনি বিচারের প্রত্যাশা করে কোন লাভ নেই। আমাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। উনাকে যদি মুক্ত করতে হয় তাহলে যে বিষয়টি বিচারিক নয় সেদিকে আমাদের সময় নষ্ট করে কোন লাভ নেই। তিনি বলেন, আমাদেরকে আজকে শপথ নিতে হবে, কঠিন শপথ নিতে হবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। যে নেত্রী সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাকে আজ জেলে রেখে আবারও একদলীয় শাসন কায়েম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ উনাকে বাইরে রেখে কোন সরকার একদলীয় শাসন কায়েম করতে পারবেন না। বাংলাদেশের জনগণের ভোটের যে অপশন রয়েছে সেটা বন্ধ করে দিতে খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানো হয়েছে। সুতরাং আজকে আমরা সবার কাছে যে ঐক্যের ডাক এসেছে, সমস্ত জাতিকে সেই ঐক্যের মাধ্যমে একতাবদ্ধভাবে আমাদের গন্তব্যে পৌঁছতে হবে। সবার গন্তব্যস্থল হচ্ছে গণতন্ত্রের মুক্তি, আইনের শাসন ও নাগরিক অধিকার ফিরে পাওয়া। আমরা সবাই সেদিকেই চলছি। কেউ আগে, কেউ পিছে, কেউ ডান দিকে আর কেউ বাম দিকে। চলতে চলতে আজ এই একতা। এটাকে আরো দৃঢ়, আরো কঠিন হতে হবে। তাহলে আমরা আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারব। আমির খসরু বলেন, কোটা সংস্কারের জন্য যখন গোটা দেশ জেগে উঠেছে তখন প্রধানমন্ত্রী পবিত্র সংসদে দাড়িয়ে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছেন। কোন প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে কোন ঘোষণা দিলে তা পালন করা তার দায়িত্ব হয়ে দাঁড়ায়। অথচ তিনি তা করেননি। যে ছাত্র সমাজ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছে সেই ছাত্র সমাজ আজ একটি সন্ত্রাসী দলের নিপীড়নের স্বীকার হচ্ছে। এরা কারা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারী দলের সন্ত্রাসীরাই এই কাজগুলো করছে। এখানে পুলিশ বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরব। আমি মনে করেছিলাম হয়তো বা বিচার বিভাগ থেকে সময় মতো স্বেচ্ছায় এখান থেকে বের হয়ে আসার জন্য একটা ব্যবস্থা হবে। কিন্তু বিচার বিভাগ থেকে আমরা কিছু পায়নি এখনও পর্যন্ত।
সংগঠনের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে ও সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয় পার্টি(জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবীব লিঙ্কন প্রমুখ। সূত্র:মানবজমিন

সর্বশেষ