spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

দূরে সরল ভারত, মালদ্বীপের পাশে পাকিস্তান

spot_img

প্রিয় সংবাদ: মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুহাম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতাগ্রহণের পর ভারতের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে দেশটি। ভারতও কমিয়ে দিয়েছে মালদ্বীপকে সাহায্যের বাজেট। এমন প্রেক্ষাপটে দ্বীপরাষ্ট্রটির পাশে দাঁড়িয়েছে আরেক প্রতিবেশী পাকিস্তান।

- Advertisement -

ভারতের বাজেট কমানোর সিদ্ধান্তের পরদিনই মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের কাছে ফোন গেছে পাকিস্তান থেকে। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান আনওয়ার উল হক কাকর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুইজ্জুকে ফোন করেছিলেন। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে জোরদার করতে আলোচনা করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

জানা গেছে, মালদ্বীপকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছেন, দেশটির উন্নয়নের প্রয়োজনে অর্থসাহায্য করবে পাকিস্তানও।

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে একটি বিবৃতি জারি করে পাকিস্তান সরকারপ্রধানের আশ্বাসের কথা জানানো হয়েছে। কিভাবে দু’দেশের বন্ধনকে আরো দৃঢ় করা যায়, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মালদ্বীপের প্রয়োজনে মুইজ্জু পাকিস্তানকে পাশে পাবে বলেই জানিয়েছেন আনওয়ার।

ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে মালদ্বীপ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাকেও সমর্থন জানিয়েছে পাকিস্তান। প্রেসিডেন্টের দফতরের বিবৃতিতে তেমনটাই জানানো হয়েছে।

১৯৬৬ সালের ২৬ জুলাই পাকিস্তানের সাথে মালদ্বীপের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। দু’টি দেশই আপাতত চীনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। পাকিস্তান ও মালদ্বীপকে অর্থ দিয়ে সাহায্য করে চীন। মালদ্বীপে সম্প্রতি যে প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় এসেছেন, সেই মুইজ্জু চীনপন্থী। ক্ষমতায় আসার পরে তিনি চীন থেকে ঘুরেও এসেছেন। সেখান থেকে ঘুরে এসে মালদ্বীপের মাটি থেকে ভারতকে সেনা সদস্যদের সরিয়ে নিতে বলেছেন মুইজ্জু।

বৃহস্পতিবার ২০২৪-২৫ সালের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানে দেখা গেছে, মালদ্বীপকে যে পরিমাণ সাহায্য করত ভারত, এ বছর তাতে কিছু কাটছাঁট করা হচ্ছে। আগের বছরের তুলনায় ২২ শতাংশ কমানো হয়েছে মালদ্বীপের জন্য বরাদ্দ অর্থ। ২০২৩-২৪ সালের বাজেটে মালদ্বীপের জন্য ৭৭০.৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল ভারত। ২০২৪-২৫ সালের অন্তর্বর্তী বাজেটে ওই অর্থের পরিমাণ কমে হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

সর্বশেষ